ইউরোপের ক্ষমতার কেন্দ্রে এখন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
কামরুল আহসান : ব্রিটেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে সরে পড়ার পর এবং জার্মানিও সবাইকে এক করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁই বোধহয় এখন শেষ ভরসা ইউরোপিয়ানদের এক করার।
তিনি যখন ফ্রান্সকে বিশ্বের প্রধানতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেকে প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার করছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু চুক্তির বিরোধীতায় সোচ্চার হয়েছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তখন তাকে খুবই উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তারপরও তার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক প্রতিকূল পথ। ৩৯ বছর বয়স্ক এ মানুষটির জন্য এখনো অপেক্ষা করছে অনেক পরীক্ষা। বিশেষ করে চলমান পরিস্থিতিতে ফ্রান্সকে অর্থনৈতিকভাবে পুনঃরুদ্ধার করা একটু কঠিনই হবে।
ইউরোপের কেন্দ্রবিন্দুতে তাকে একা ছেড়ে দিয়ে অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এখন নিজের দল গুছাতে ব্যস্ত। এখন যদি ম্যাক্রোঁ একা সব সামলাতে যান তাহলে হয়তো মেরকেলের মতোই তারও পতন হবে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন পুর্নগঠনের সহকারি পরিচালক সাইমন টিলফোর্ড মন্তব্য করেন, ‘ম্যাক্রোঁ ইউরোপকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন, যদি তিনি জার্মানির সহযোগিতা পান। তিনি একা কিছু করতে পারবেন না। ফ্রান্সের জার্মানিকে প্রয়োজন, যেমন জার্মানির প্রয়োজন ফ্রান্সের।’
মাত্র ৬ মাস হয় ম্যাক্রোঁ ক্ষমতায় এসেছেন। এর মধ্যেই তিনি অনেকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউরোপের নতুন নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। নিজের দেশকে পুর্নগঠনের কর্মযজ্ঞ তিনি শক্ত হাতেই নিয়েছেন। শ্রমিকদের মজুরি ও ট্যাক্সের আমূল সংস্কার আনছেন।
কিন্তু, ইউরোপের পূর্নগঠনসহ মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের নেতৃত্বে তিনি কতোটা অগ্রসর হতে পারবেন তা নির্ভর করে অ্যাঞ্জেলা মেরকেলের ওপরই। কারণ, তারা দুজনই ইউরোপকে উপস্থাপন করেন, নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে ম্যাঁক্রো এখন মেরকেলকে ছাড়িয়ে পুতিন ও ট্রাম্পের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে তৎপর। বন্ধুতের হাত তিনি বাড়িয়েছেন জাপান ও চীনের দিকেও। এতে বোঝা যাচ্ছে সবাইকে নিয়েই তিনি এগিয়ে যেতে চান। কতোটা তিনি কী করতে পারবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন। জাপান টাইমস