সমাজতন্ত্রের পতনই কিম জং উনের পতনের কারণ হবে
কামরুল আহসান : উত্তর কোরিয়ায় ইতোমধ্যে সমাজতন্ত্রের পতন শুরু হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর নিঃসঙ্গ পরিস্থিতি থেকে দেশটি বেরিয়ে এসে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে মিলতে চাচ্ছে, কিন্তু, কিম জং উনের গোঁড়ামি তাকে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের দিকে।
উত্তর কোরিয়াকে আর আমেরিকার ধ্বংস করতে হবে না। তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে নিজেদের ভুলে। যেমন ধ্বংস হয়েছে রাশিয়া। এক সময় রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু, রাশিয়াকে আর আমেরিকান সৈন্যদের ধ্বংস করতে হয়নি। রাশিয়া ধ্বংস হয়েছিল তাদের সমাজতান্ত্রিক একরৈখিক নীতির কারণেই। যার আলামত এখন দেখা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। অর্থনীতির পতনই তাদের পতনের কারণ হবে। এওএল
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে উত্তর কোরিয়ার তরুণ প্রজন্ম তাদের নেতা কিম জং উনের নাম মুখেও নিতে চায় না। নিজেদের মধ্যে তারা তার নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করে। তাদের ধারণা কিম জং উনের আর ক্ষমতা নেই তাদের নেতৃত্ব দেয়ার। আর রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন বয়স্ক নাগরিকরাও মনে করেন কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া আর বড়জোর ১০ বছর টিকবে। তার একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতার খর্ব না হলে তিনি দেশকে অনিবার্যভাবেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন।
উত্তর কোরিয়া পৃথিবীর এক প্রান্তের এক নিঃসঙ্গ দেশ। আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও দেশটির নাগরিকদের সম্পর্ক নেই। কাউকেই খুব সহজে এ দেশ থেকে বেরোতেও দেয়া হয় না, অন্য দেশের নাগরিকদেরও এ দেশে খুব সহজে ঢুকতে দেয়া হয় না। প্রায় এক বন্দিখানা। উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বাকি পৃথিবী তেমন কিছু জানে না বললেই চলে। সবাই শুধু জানে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভয়াবহ পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু, কেন এ যুদ্ধ, দেশের নাগরিকদের এ যুদ্ধ সম্পর্কে কী অভিমত, দেশটি সম্পর্কে তারা কী ভাবছে তাও কাউকে জানানো হয় না। খুবই কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশটির সংবাদমাধ্যম। বিশ্বায়ন ও মুক্তবাণিজ্যের এ যুগে তারা পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এটাই তাদের পতনের কারণ হবে। সম্পাদনা : শোভন দত্ত॥