হঠাৎ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বার্নিকাট
তরিকুল ইসলাম: ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গতকাল দুপুরে পূর্বনির্ধারিত সময় সূচির বাইরেই হঠাৎ করে এসে হাজির হন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমারে রাজধানী নেপিডোতে অবস্থান করায় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অপর একটি সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বার্নিকাটকে বহনকৃত গাড়িটি মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করার আগে প্রায় ১০০ গজ দূরে সড়কের পাশে অবস্থান করছিলো। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে অবস্থান করার পর গাড়িটি ভিতরে প্রবেশ করে। শাহরিয়ার আলমের কক্ষে প্রবেশের ঘন্টা দেড়েক পর বার্নিকাট বের হওয়ার সময় প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ঠিক কি ভাবছে, কোন ধরনের পদক্ষের দিকে এগুচ্ছে সেটা জানতেই এসেছি। শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।’ রোহিঙ্গারা যেন স্বদেশে নিরাপদে ফেরত যেতে পারে, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি মানুষ কখনো এমনি এমনি নিজের বাড়ি ছেড়ে যায় না। জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে বড় ধরনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের যাচাই বাছাই করে সে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এছাড়াও বাংলাদেশে অবস্থানরত শরণার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। রাখাইন পরিস্থতি নিয়ে চীনের তিন ফর্মুলাকে কি ভাবে দেখছেন এর উত্তরে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে বিষয়টা দেখেছি। আপনারাইতো লিখেছেন যে, -সেটাকে নাকি বাংলাদেশ গ্রহণও করেছে।
সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন