কার স্বার্থে বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন বন্ধ হচ্ছে না?
আহমেদ জাফর: ব্যক্তির স্বাথের্র জন্য বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন বন্ধ হচ্ছে না। আইন ভঙ্গ করে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে বিদেশী চ্যানেলে। আরটিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান গত মঙ্গলবার ১০টায় ডিবিসি নিউজ টকশো অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন বার বার বলার পরও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। এ কারণে সরকার বড় ধরণের রাজ¯া^ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের স্বার্থ আছে বলেই তারা চুপ করে আছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করা যায়। বাংলাদেশের টেলিভিশনের জন্য দক্ষ জনবল পেতে হলে প্রশিক্ষনের ব্যবস্তা করতে হবে। এখন আমাদের দেশের টেলিভিশনের অবস্তা হল সন্তান জন্ম দিয়েছি খেয়াল রাখার কেউ নাই।দর্শকের চাহিদার কারণে দেশে বিশেষায়িত চ্যানেল আসছে। পাঁচ মিনিট পর পর বিজ্ঞাপন দেয়ার কারনে আমাদের দেশের চ্যানেল কম দেখে।
এক্রাপ্রেশনস লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ আপন আহসান বলেন, টেলিভিশনের জন্য আইন আছে । সে আইন মানছে কি না সেটা দেখার বিষয়। আমাদের দেশে অনুষ্ঠানের চেয়ে বিজ্ঞাপন বেশি দেখানো হয়। তাই লোকজন চ্যানেল গুলো কম দেখে। এ বিষয়টা চ্যানেলের জন্য খুব ক্ষতিকর। একই নায়ক নায়িকার অনুষ্ঠান একসাথে বিভিন্ন চ্যানেলে দেখানো হয়। অবৈধ বিজ্ঞাপনের জন্য আইন আছে কিন্তু তথ্যমন্ত্রণালয় কিছু করছে না। টেলিভিশনের মালিকরা শুধু লাভের আসায় কাজ করে। নিউজ চ্যানেল হচ্ছে পাওয়ারফুল গণমাধ্যমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া বলেন
টেলিভিশন যতই আসুক এতে টেলিভিশনের মান কমবে না। প্রত্রিকা ও রেডিও যখন এসেছিল প্রশ্ন উঠেছিল বাজারে টিকে থাকবে কি না। এখন অনলাইন টিভি ও নিউজ পোর্টালের একই প্রশ্ন। সব কিছুই ভালভাবে চলছে। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে যে কটা চ্যানেল আছে খুব বেশি না। কিন্তু অনুষ্ঠানের মান তেমন ভাল না। নিউজ হলে সব চ্যানেলে একই সাথে নিউজ প্রচার করা হয়। ব্যতিক্রম নিউজ খুব কম। ভাল কিছু করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু হয়েছে। অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে টিভি চ্যানেল চালাচ্ছে।