১০ টাকায় উন্নতমানের চক্ষুসেবা
ফাহিম ফয়সাল : জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বর্হি:বিভাগে পাওয়া যাচ্ছে চক্ষু সেবা। রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য হাসপাতালের বহি:বিভাগের টিকেট কাউন্টার থেকে পর্যন্ত খোলা থাকে। রোগী দেখে চিকিৎসা চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
গতকাল বুধবার এই হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, এখানে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা টিকিট কাউন্টার। টিকিট নেওয়ার পর মহিলা ও পুরুষ রোগীরা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করেন। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে যার যেখানে প্রয়োজন ডাক্তার তাকে সেই রুমে পাঠিয়ে দেন। শিশুদের দেখা হয় পঞ্চম তলায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি রুমে ডাক্তার ও নার্স কর্মরত রয়েছেন। বর্হি:বিভাগ ছাড়াও এ হাসপাতালে আন্তঃবিভাগ রয়েছে। আন্তঃবিভাগে ২৫০ টি বেড রয়েছে। রোগীদের কিছু ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয় আর কিছু ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়। ভর্তি রোগীদের খাবার হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করা হয়।
চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এই হাসপাতালে রয়েছে উন্নতমানের সব যন্ত্রপাতি। দেশসেরা চক্ষু চিকিৎসকরা রয়েছেন এখানে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং উন্নতমানের চক্ষু হাসপাতাল এটি। যেকোনো ধরনের চোখের চিকিৎসা এই হাসপাতালে করা হচ্ছে। প্রতিদিন রোগী দেখা হচ্ছে প্রায় ৯শ থেকে এক হাজার দুইশ জন। অপারেশন করা হচ্ছে ৮০-৯০ জন রোগীর। এছাড়া এই হাসপাতালে চোখের চিকিৎসার উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হয়। রয়েছে চিকিৎসকদের জন্য উন্নতমানের একটি গ্রন্থাগার।
এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার চোখে ছানি অপারেশন করেছি। এখন চোখ ভাল আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য এসেছি।
এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, চক্ষু রোগীদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই হাসপাতালটি প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মধ্যে ছিল। ২০০৭ সালে ভাগ হয়ে এটি শের-ই-বাংলানগর চলে আসে। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন