‘ডায়াবেটিক রোগীদের বছরে অন্তত একবার ‘ডায়নামি পেডোগ্রাফ’ দিয়ে পা পরীক্ষা করা উচিত ’
এ জেড ভূঁইয়া আনাস, মুহাম্মদ আল বাহলুল : ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের ¯œায়ু খুবই দুর্বল হয়। সাধারণ মানুষ জুতা পড়লে পায়ে ব্যথা হলে টের পেলেও ডায়াবেটিক রোগীরা পায় না । যার কারণে তাদের পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এটা বড় ধরণের ইনপেক্সন হওয়ার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের পা কেটে ফেলতে হয়। দেশীয় আবিষ্কৃত ‘ডায়নামি পেডোগ্রাফ’ এর মাধ্যমে প্রত্যেক রোগী ৬ মাস বা বছরে একবার তার পায়ের পরিধি পরিমাপ করে নিলে তার এই সমস্যা হবে না। টিভিএনএ’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলোজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. সিদ্দিক-ই-রাব্বানি। তিনি বলেন, নিজস্ব উদ্ভাবনে যে যন্ত্র আবিষ্কার করা হয় তা নিয়ে বারডেমে এক সেমিনারে আমি আমার প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। সেখানে পাকিস্তান থেকে একজন ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞ এসেছিলো। তিনি আমাকে ডায়বেটিস রোগীদের পায়ের অবস্থা পরিমাপের জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করার অনুরোধ করেন। তার অনুরোধে আমি এ নিয়ে গবেষণা শুরু করি। ২০১০ সালে সফলতা পেয়ে আমরা প্রথমে পরীক্ষা মূলত করাচি ‘ বাকাই মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ডায়াবেটিক সেন্টারে’ পাঠাই। তারা সফলতার পেয়ে আমাদের কাছে আরো যন্ত্র চায়। পরে আমরা তা সরবারহ করি। আমরা পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় এই যন্ত্র সরবারহ করেছি। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সেন্টার, ইবরাহিম মেডিকেল কেয়ার, লেদার রিচার্স ইনিস্টিটিউটে রয়েছে। আমি মনে করি প্রত্যেক হাসপাতালে এর ব্যবস্থা করা দরকার।
তাছাড়া দেশের এই বিজ্ঞানি সক্রিয় কৃত্রিম হাত আবিষ্কার করেছেন। যার মাধ্যমে মানুষ আসল হাতের মতো কাজ করতে পারবেন। এটি পরীক্ষা মূলকভাবে সাত বছরের শিশু রাজিয়ার শরীরে স্থাপন করা হয়েছে।