নদীর তীর থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরাতে জায়গা দেবে সরকার : নৌ মন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন : নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, দরবার শরীফ) অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারিভাবে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৬তম সভায় শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
নৌ মন্ত্রী বলেন, নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তারা একমত হয়েছেন, স্থানান্তরের জন্য জায়গা দরকার। আমরা যদি তাদের জায়গা দিতে পারি তাহলে সেগুলো তারা স্থানান্তর করবেন। এজন্য খাস বা সরকারি জমি দেয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, নদীর তীরে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইটিপি থাকলেও তারা চালু রাখে না। নদীর তীরে গড়ে উঠা এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা নদী দূষণ করছে তাদের তালিকা করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ের তালিকা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্থায়ী সদস্যের মেয়াদ শেষ। নতুন কর্মকর্তা পেলে ইছামতী নদী উদ্ধারের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যেন নিয়মিত কাজ করেন সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সাভারের ট্যানারি বর্জ্য থেকে নদী দূষিত হচ্ছে। প্রয়োজনে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে নদী দূষণ যাতে না হয়। কাজটি করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি বলেছি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন