এসডিজি অর্জনে প্রতিবছর জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে: সিপিডি
তানভীর আহমেদ: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিদ্যুৎ বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড এর এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সবচেয়ে খারপ। এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতিতে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহে শহরাঞ্চলে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সুবিধা পায় গ্রামাঞ্চল সেই তুলনায় অনেক কম সুবিধা পায়। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে একটা ডিভিশন রয়েছে। অথচ আমরা জানি যে, স্বল্পোন্নত দেশগুলো, যেমন গ্রামে যদি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, জ্বালানি না থাকে তাহলে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হবে। যেটা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে, আমাদের জাতীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশে এখনও যারা বিদ্যুতের আওতায় আসেনি তাদের ৮০ শতাংশই গ্রামে বসবাস করেন। তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব না। গ্রামের মানুষের উন্নয়ন হলেই তা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তাদের পেছেন রেখে যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিগগিরই জ্বালানি সক্ষমতার অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক তহবিলগুলো থেকে অর্থ আনার জন্য উদ্যোগ নেয়ার বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় শিকার বাংলাদেশ। এজন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে অর্থছাড় নিশ্চিত করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের বিকল্প নেই বলেও মনে করে সিপিডি। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন