রাজধানীর ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে ৯ ট্যাংকার
শাকিল আহমেদ : ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নগরীর রাস্তায় পানি ছিটানোর কর্মসূচী শুরু করেছে। নগরবাসীও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু উদ্যোগটি ভালো হলেও সংস্থাটির রয়েছে মাত্র কয়েকটি পানিবাহী ট্যাংকার। ৫টি অঞ্চলের জন্য ভরসা মাত্র ৯ ট্যাংকার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কাজটি সফল করতে দরকার আরও ১০টি ট্যাংকার। ডিএসসিসি জানায়, শীত মওসুমে নগরীতে ধুলাবালি বাড়ে। এসময় অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই রাস্তায় পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।
ডিএসসিসি জানায়, তাদের ৯টি গাড়ি আছে। ৫টি নতুন ও ৪টি পুরনো। নতুন গাড়িতে পানি ধরে ৭ হাজার লিটার। অন্য দিকে পুরোনো গাড়িতে ধরে ৫ হাজার লিটার। তাই স্বল্পসংখ্যক ট্যাংকার দিয়ে নগরীর রাস্তা ভেজানো অসম্ভব।
ডিএসসিসির পরিবহন বিভাগের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ জানান, রাস্তায় পানি ছিটানো চলবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। তিনি বলেন, প্রতিদিন একেক রাস্তায় পানি ছিটানো হয়। তাই কোন সমস্যা হয় না।
বছর জুড়েই নগরীতে চলে রাস্তা কাটাকাটি ও খোঁড়াখুঁড়ি। তাই সবসময় নগরী থাকে ধুলায় ধূসরিত। তার ওপর ওয়াসা, তিতাস গ্যাস, বিটিসিএল, ডেসকো ও অন্যানা সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কর্মকা-ে থাকে প্রাণ ওষ্ঠাগত। মুখে মাস্ক ও নাকে রুমাল চেপেও রক্ষা মেলে না।
নগরবাসীকে ধুলার প্রকোপ থেকে রক্ষা করতেই গেল ৯ নভেম্বর মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রাস্তায় পানি ছিটানোর কর্মসূচী উদ্বোধন করেন। তিনি নগরীর ৫০ কিলোমিটার জুড়ে দিনে দুইবার পানি ছিটানোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেন। বঙ্গভবন, গুলিস্তান, বাংলামোটর, শহবাগ, শিক্ষাভবন, সচিবালয়, জিরো পয়েন্ট, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, বেইলি রোড, ধানম-ি-৩২ ও ধানম-ি-২৭, নীলক্ষেত, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলবে পানি ছিটানো কর্মসূচী।
নগরীর যেসব স্থানে উন্নয়ন কর্মকা- চলবে, সেখানে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা ও দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পানি ছিটানো হবে। সম্পাদনা : আহমেদ রাজু