শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান
অর্থনৈতিক ডেস্ক : প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আর সিএসইতে লেনদেন বেড়ে আগের কার্যদিবসের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শেয়ারবাজারে প্রধান খাতসহ এদিন সবকটি খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩টি ব্যাংকের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম। ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন দাম বাড়ার কারণেই মূলত সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। জাগোনিউজ
লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে। এ নিয়ে টানা দুই কার্যদিবস ডিএসইর সবকটি সূচক বাড়লো। আর সূচকের টানা ঊর্ধ্বমুখীতায় ডিএসইএক্স ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক চালুর পর সর্বোচ্চ স্থানে উঠে এসেছে। মূল্য সূচকের এই রেকর্ডের দিনে বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৬টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৯৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংকের ৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩৯টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম