প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ ৭ ব্যাংক
অর্থনৈতিক ডেস্ক : ব্যাংকিং খাতের ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণের পরিমাণও বেড়েছে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় খাতের তিন ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের চার ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ ব্যাংকগুলো হলো, রাষ্ট্রীয় খাতের সোনালী, রূপালী, বেসিক এবং বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি প্রায় ৮ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকেরই ঘাটতি ৭ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। বাংলা ট্রিবিউন
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ২ হাজার ৯০১ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা ও বেসিক ব্যাংকের ৩ হাজার ৪২২ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে প্রভিশন ঘাটতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি ৮৬২ কোটি টাকা। এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৮৯ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হয়। ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। খেলাপির পরিমাণ বেড়ে গেলে ব্যাংকের সক্ষমতাও কমে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বাড়ার বড় কারণ, ব্যাংক খাতে সুশাসন না থাকা। খেলাপি ঋণ দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, এটা শুধু ব্যাংক খাতে নয়, পুরো অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণ বিতরণের ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর সঙ্গে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন যোগ করলে প্রকৃত খেলাপির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম