করিডর পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে একমত চীন-পাকিস্তান
আরটিএনএন : পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়া চীনের ‘এক অঞ্চল এক সড়ক’ (ওবিওআর) উদ্যোগের অংশ এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করতে একমত হয়েছে বেইজিং ও ইসলামাবাদ। ৫৬ বিলিয়ন ডলারের ‘চীন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর’ (সিপিইসি) নির্মাণের কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত যৌথ সহযোগিতা কমিটির (জেএসসি) বৈঠকে সিপিইসি’র দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অনুমোদন করা হয়।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি গোয়াদার বন্দরের ইস্ট বে এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বাণিজ্যিক হাব করাচি ও গোয়াদার এর মধ্যে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ লিংক’ নির্মাণের জন্য চীনা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। এছাড়া শহরে আরো কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৭০ বিলিয়ন রুপির উন্নয়ন প্রকল্পটি পুরদমে চলছে, আমি অত্যন্ত আস্থাশীল যে এই প্রকল্পগুলো – একটি ছোট মাছ ধরার শহরকে একটি বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ন শহরে পরিণত করবে।’ বেলুচিস্তান প্রদেশের জ্বালানী ও পানি সরবরাহ সরবরাহ সমস্যা নিয়েও কথা বলেন আব্বাসি। তিনি বলেন, এগুলো সমাধানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের, চীনের নয়। সরকার সমস্যাগুলো শীঘ্রই সমাধান করবে। আব্বাসী বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোর সুফল স্থানীয় মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে। জেসিসি বৈঠকে চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াং শিয়াটাও এবং পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন। দু’দেশের আনুমানিক ১৫০ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
পরিকল্পনাগুলো চারটি প্রদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্য গিলগিট বালতিস্তানও রয়েছে। তবে সেখানে কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে দুদেশে ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারায় আবারো এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে।
তিনি জানান যে, করাচিতে একটি রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্য ও কৃষি প্রযুক্তি উন্নয়নে সাহায্য করবে চীন।
গোয়াদর বিমানবন্দর নির্মাণ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এটি পাকিস্তানের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। ২০১৮ সালে এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ