বাল্যবিয়ে চালু করতে যাচ্ছে ইরাক
প্রত্যাশা প্রমিতি সিদ্দিক : ইরাকের সংসদে বাল্যবিয়ে চালু করার একটি প্রস্তাবে পুরো দেশজুড়ে বির্তক দেখা গেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সমালোচকরা বিষয়টিকে নারী শিশুদের ‘ধর্ষণের লাইসেন্স’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। গত অক্টোবরে রক্ষণশীল শিয়া গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ১৯৫৯ সালে করা বিয়ের ক্ষেত্রে নারীদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছরের আইনটি সংশোধনের দাবি জানানো হয়। তাদের নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়, ধর্মীয় নেতাদের সম্মতি থাকলেই কন্যা সন্তানদের বিয়ে দিতে পারবে তাদের বাবা-মা। সেক্ষেত্রে বয়সের কোনো ন্যূনতম সীমারেখা থাকবে না। এ বিষয়ে শিয়া ‘ফাদিলা’ গ্রুপের সদস্য আমার তোয়ামা জানায়, ‘আইনটিতে বয়সের কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিয়ের জন্য মেয়েটি প্রস্তুত বলে মনে করা হলে এবং ধর্মীয় নেতাদের অনুমতি থাকলেই এটি সম্ভব হবে।’ ইরাক লিগাল কমিশনের সদস্য ফাইক আল শেখ বলেন, ‘এই আইনের ফলে শিয়া-সুন্নী নেতাদের কথাই মানতে বাধ্য থাকবে আদালত।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামে ৯ বছর বয়সীদের বিয়ের দৃষ্টান্তও আছে।’
এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকতা হাডি আব্বাস বলেন, ‘এই আইন মূলত আইএস জঙ্গীদের সমর্থন করে যারা মেয়েদর ধর্ষণকেও হালাল মনে করে।’
তিন কন্যা সন্তানের জননী সাফিয়া মহসেন বলেছেন, ‘ইরাক একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ, যেখানে বেকারত্ব চরমে সেখানে বাল্যবিয়ে নিয়ে সরকারের ব্যস্ততা মূলত শিশুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বড়িয়ে দিবে। এই প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে সরকার আমাদের আবার মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।’ নিউজ এবিএস.সিবিএন