নানগাগওয়ার হাত ধরে কি কোনো পরিবর্তন আসবে জিম্বাবুয়েতে?
সজিব সরকার : ৩৭ বছর পর নতুন নেতা পেতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে জনগণ। নির্মমতার জন্য ‘কুমির’ নামে খ্যাত দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানাগাগওয়াই হতে যাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। আজ শুক্রবার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কেউ কেউ সুদিনের আশা করলেও সবাই একমত হতে পারছেন না বিষয়টিতে। কারণ নানগাগওয়ার অতীতটাও যে, পুরোপুরি স্বচ্ছ ও নির্মল নয়।
নানগাগওয়া ছিলেন মুগাবের খুব কাছের রাজনৈতিক সহচর যিনি ১৯৮০ সাল থেকে মুগাবের সঙ্গে রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। ১৯৮০ সালের স্বাধীনতার পর তাকে নিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন মুগাবে।
ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেক নির্মম। ১৯৮৩ সালে মেটাবেলেল্যান্ড ও মিডল্যান্ডে বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর তিনি সশস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন যেখানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্টের প্রথম দফা নির্বাচনে মুগাবে হেরে গেলে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন করে তিনি বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করেন। মুগাবের টানা ৩৭ বছরের স্বৈরশাসনের পিছনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দেশটির একজন ব্যাংক কর্মকর্তা পেট্রিক মোয়ো বলেন, ‘মুগাবের শাসনামল শেষে আমরা কিছুটা স্বস্তিতে আছি কিন্তু আমাদের খুব একটা খুশি হওয়া উচিত নয়। আমরা নানগাগওয়ার অতীত সম্পর্কে জানি।’ দক্ষিণ অফ্রিকার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক ডেওয়া মাভিগা বলেন, দেশটিতে অর্থবহ পরিবর্তন হবে বলে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কারণ নানগাগওয়া ছিলেন মুগাবের বলপ্রয়োগকারী।
সুদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছে জিম্বাবুয়ের জনগণ। তবে, নানগাগওয়ার অতীত ইতিহাস সেক্ষেত্রে একটু ভিন্ন ইঙ্গিতই প্রকাশ করছে। কী হতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়েতে এখন তা দেখার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব। ডেইলি মেইল ও নিউজ ২৪