সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরাই দুর্নীতির সুযোগ করে দেয় : দুদক চেয়ারম্যান
জান্নাতুল ফেরদৌসী : গ্রাহকদের সময়মতো সেবা না দিয়ে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। ২৫টি সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা তথ্যের ভিত্তিতে একথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আর গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে এসব খাত সম্পর্কে জনগণের নেতিবাচক ধারণা বদলাবে না বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি।
বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস কিংবা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস কোনো সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়েই স্বস্তি নেই। ছোট-খাট কাজের জন্যও গ্রাহকদের চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়তে হয়। তবে ঘুষ দিলে নিমিষেই সব সমস্যার সমাধান। সরকারি সেবাখাতের এমন চিত্র উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২৫টি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়। এতে দুর্নীতির ধরন, উৎস, কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সময়মতো সেবা না দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে দুর্নীতির পথ। এতে জড়িত থাকে প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক ব্যক্তি। যাদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আপনি সচিবালয়ে আসেন, সচিবালয়ে নির্দেশমালা রয়েছে আপনারা জানেন। সচিবালয়ের ক’জন কর্মকর্তা আছে যারা সচিবালয়ের নিয়মনীতি মেনে যথাসময়ে কাজ করে। ওনারা ওনাদের তৈরি করা সিটিজেন চার্টও মেনে চলে না।
দেশের দুর্নীতির সূচক নির্ভর করে সরকারি সেবাখাতের মানের ওপর। সেবার মান ভাল না হলে জনগণের আস্থা অর্জন হবে না বলছে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আর এসব গবেষণা থেকেই সেবা খাতগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করার কৌশল জানা যাবে বলে মনে করছে দুদক। তথ্যসূত্র- ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ