‘আত্মীয়স্বজনদের লুটপাটের সুযোগ দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে’
কিরণ সেখ : ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনদের লুটপাটের আরও বেশি সুযোগ করে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, জনগণের প্রতি ভোটারবিহীন সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বলেই জনগণকে নিষ্পেষণ ও অপমান করতে এই দাম বৃদ্ধি। বর্তমান সরকার একের পর এক জনবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও কমার কথা। কিন্তু বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে উল্টো বাড়ানো নজিরবিহীন এবং গণবিরোধী। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত জ্বালানি (ফার্নেস) তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হলে খরচ আরও কমানো যেতো- বলে মনে করে তিনি।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধু অযৌক্তিক ও গণবিরোধী নয় ভোটারবিহীন সরকারের লুটপাট নীতির বহিঃপ্রকাশ। গোটা দেশটাকে গিলে খেতেই রক্তচোষা সরকার উন্মত্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিদ্যুতের সঙ্গে সব কিছু সম্পর্কিত। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়বে সীমিত আয়ের মানুষ। শিল্প খাতেও পড়বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব। এমনিতে সরকারের লুটপাট আর ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশে কোনো বিনিয়োগ নেই। এমন সময় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা মানেই বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করা। অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি।
বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, সরকার অজানা ভীতি থেকে আবারও গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার সুপরিকল্পিত অংশ হিসেবে প্রতি বৃহস্পতিবার দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আর এই অংশ হিসেবেই আদালত আশে পাশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন চালায়। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু