২ মাস পর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু
হুমায়ুন কবির খোকন : দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরুর ব্যাপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার দফতরে দুদেশের মধ্যে এই সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কাজ দুই মাসের মধ্যে শুরু করার কথা উল্লেখ থাকলেও কতদিনের মধ্যে তা শেষ হবে সেই ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে রাজি হয়নি মিয়ানমার।
স্বাক্ষরিত ওই সমঝোতায় তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়টি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ওই সমঝোতায় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের ইউনিয়ন মিনিস্টার কিয়া তিন্ত সোয়ে স্বাক্ষর করেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিসহ ওই বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে দ্বিপক্ষীয় ‘ফিজিক্যাল অ্যরেঞ্জমেন্ট’ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।
রাজধানী নেপিদোতে দুদেশের মধ্যে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ শীর্ষক এ স্মারক স্বাক্ষর হয়। যার মাধ্যমে নতুন করে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর সমঝোতা স্বাক্ষর হলো। তারা (মিয়ানমার সরকার) রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। এখন কাজটা শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গা ফেরাতে কতদিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটা শুরু করাই বড় কথা। কতদিন লাগবে তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কারণ রাখাইনে যেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছেন তাদের বাড়িঘর সব জ্বালিয়ে দেওয়া; সেগুলো তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, (আগামীকাল) শনিবার এ বিষয়ে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরবেন তিনি।
অন্যদিকে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয় দফতরের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট চিং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফরম (রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিবন্ধন ফরম) পূরণ করে আমাদের ফেরত পাঠালে যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে আনতে চাই। রোহিঙ্গাদের ফেরতের ইস্যু ছাড়াও নাফ নদীর সীমানা রেখা বিনিময় বিষয়ক আরও একটি স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আলী। এছাড়া তারা ১৯৯৮ সালের সীমান্ত নির্ধারণী চুক্তি নবায়নে স্বারক বিনিময় করেন।
এর আগে সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ছাড়াও মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী
রাজধানী নেপিদোতে দুদেশের মধ্যে ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন্স ফ্রম রাখাইন স্টেট’ শীর্ষক এ স্মারক স্বাক্ষর হয়। যার মাধ্যমে নতুন করে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর সমঝোতা স্বাক্ষর হলো। তারা (মিয়ানমার সরকার) রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে। এখন কাজটা শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গা ফেরাতে কতদিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটা শুরু করাই বড় কথা। কতদিন লাগবে তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। কারণ রাখাইনে যেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসেছেন তাদের বাড়িঘর সব জ্বালিয়ে দেওয়া; সেগুলো তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, (আগামীকাল) শনিবার এ বিষয়ে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরবেন তিনি।
অন্যদিকে মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয় দফতরের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি মিন্ট চিং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফরম (রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিবন্ধন ফরম) পূরণ করে আমাদের ফেরত পাঠালে যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে আনতে চাই। রোহিঙ্গাদের ফেরতের ইস্যু ছাড়াও নাফ নদীর সীমানা রেখা বিনিময় বিষয়ক আরও একটি স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আলী। এছাড়া তারা ১৯৯৮ সালের সীমান্ত নির্ধারণী চুক্তি নবায়নে স্বারক বিনিময় করেন।
এর আগে সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। ওয়ার্কিং গ্রুপ মাঠ পর্যায়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ছাড়াও মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী