‘সারাবিশ্বের চাপে চুক্তি করছে মিয়ানমার’
ফাহিম ফয়সাল : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। চুক্তিটা ভালো দিক। সারাবিশ্বের কূটনৈতিক চাপের কারণে মিয়ানমার এই চুক্তির কথা বলতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনামূলক ‘নিউজ এন্ড ভিউজে’ গত বুধবার রাতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্যই মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের নাজুকতা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার বলছে ১৯৯০ সালের চুক্তির ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক করা হবে। কিন্তু ১৯৯০ সালের বাস্তবতা আর এখনকার বাস্তবতা এক না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্ব সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া ও চীন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার কথা বলেছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক নয়, বিষয়টি বহুমাতৃক। বিষয়টি বহুপাক্ষিক হওয়া উচিত ছিল। দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে হয়তো অনেক ভালো দিক থাকবে, কিন্তু চুক্তিটা বাস্তবায়নে সন্দেহ থাকবে। বাংলাদেশে আসার পর অনেক শিশু জন্মগ্রহণ করছে। তাদেরকে কিভাবে ফিরিয়ে নিবে?
টকশোতে সিপিবির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বলেন, নানা আশঙ্কা সত্ত্বেও যেটা হয়েছে সেটা একটা অগ্রগতি। আশঙ্কা থাকলেও আমাদেরকে সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ খুবই ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ কোনো ধরনের উস্কানিতে পা ফেলেনি। এ সংকট কাটানোর জন্য আমাদের হাতে তেমন কোনো রাস্তা ছিল না। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ