৯০ শতাংশ ব্যাংকারের মত হস্তান্তরিত ঋণ ব্যাংক খাতে ঝুঁকি বাড়াবে
আরিফুর রহমান তুহিন : ৯০ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন, হস্তান্তরিত ঋণ ব্যাংক খাতে ঝুঁকি বাড়াবে। ৪০ শতাংশ ব্যাংকারের মতে হস্তান্তরিত ঋণ ইতোমধ্যেই ঝুঁকি তৈরি করেছে। আর ৫০ শতাংশ ব্যাংকার জানিয়েছেন, হস্তান্তরিত ঋণ নিকট ভবিষ্যতে ঝুঁকি তৈরি করবে। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনন্সিটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘লোন টেকওভার ইন বাংলাদেশ ইজ ইট এ হেলদি প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার ঋণ হস্তান্তরের (টেকওভার) ঘটনা ঘটেছে। একে কেন্দ্র করে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। অনেকাংশেই গ্রাহকের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়ে পড়ছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, দুর্বৃত্তরা এখন ব্যাংকিং খাতে ঢুকে পড়েছে। লুটপাটের টাকা দিয়ে তারা ব্যাংক খুলে বসেছেন। তাদের চাপে ব্যাংকাররা ঋণ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ তারা চাকুরি হারানোর ঝুঁকিতে থাকেন। অনেকেই শেষ বয়সে এসে চাকরি হারাতে চান না। সম্প্রতি এক কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার মাত্র ৩ মাস থাকতে পদত্যাগ করেছেন। আরেকটি ব্যাংকে ৩ বছরে ৩ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। এখন ওই ব্যাংকে কোনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা একটি টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। দুর্নীতি-অনিয়ম সাংবাদিকদের কাছে গোপনে ফাঁস করে দেন। এতে সব সমস্যার সমাধান না হলেও অনেকটাই হবে। অতীতের যত সমস্যার সমাধান হয়েছে, তার বেশির ভাগই সাংবাদিকদের অবদান।
লোন টেকওভারের নিয়ম-নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনে চললেই যথেষ্ট। আইন যত কম হয়, তা মেনে চলা তত সহজ। লোন টেকওভারে অনিয়ম সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যাংক এর জন্য দায়ী। নতুন নতুন ব্যাংক এলেও গ্রাহক সেভাবে আসছে না। তাই প্রতিযোগিতা করতে গিয়েই অনিয়ম করছে ব্যাংকগুলো। সম্পাদনা : আহমেদ রাজু