সেই ব্যাটটাই আমার জীবনের প্রথম ব্যাট : ব্রায়ান লারা
স্পোর্টস ডেস্ক : এক পায়ে ভর দিয়ে খেলা তার পুল শটগুলো ছিল রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। তার উইকেটে থাকা মানেই ছিল বাড়তি বিনোদন। বলছি ক্রিকেটে রেকর্ডের বরপুত্র নামে খ্যাত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানদের একজন ব্রায়ান চার্লস লারার কথা। শৈশবের লারা : ব্রায়ান চার্লস লারার জন্ম ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর সান্টা ত্রুক্রজে ১৯৬৯ সালের ২ মে। পরিবারের সবাই তাকে আদর করে প্রিন্স বলে ডাকতেন। শিক্ষাজীবন : লারার প্রথম স্কুল ছিল সেন্ট জোসেফস রোমান ক্যাথলিক প্রাইমারি স্কুল। এরপর তাকে সান-জুয়ান সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি করা হয়। এক বছর পর ১৪ বছর বয়সে তিনি ফাতিমা কলেজে ভর্তি হন, যেখানে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন কোচ হ্যারি রামদাসের অধীনে। পরিবারের সদস্যরাই একটা ক্রিকেট দল : লারার জীবনে ক্রিকেটের শুরু হয়েছিল ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোর একটা ছোট্ট গ্রামে। লারারা ছিলেন সাত ভাই, চার বোন। ১১ ভাইবোনের মধ্যে লারা দশম। লারা মানেই অনুপ্রেরণা : লারা এক অনুপ্রেরণার নাম। যার অনুপ্রেরণাতে উজ্জীবিত হয়ে আলো ছড়িয়েছেন অসংখ্য ক্রিকেটার। তেমনই একজন অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ফিঞ্চ। এই ওপেনার বলেন, একবার ৯০-এর ঘরে গিয়ে আউট হচ্ছিলাম বারবার। প্রসঙ্গটা তুলতেই লারা পরামর্শ দিলেন, অন্য কিছু না ভেবে তুমি আগে সেঞ্চুরিটা করো। এটা তোমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে। এবং তার প্রতিচ্ছবি: লারার বয়স তখন মাত্র ১৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে খেলার আগে একটা দোকানে কাজ করতেন। বাবাই ফোন করে জানিয়েছিলেন দলে সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ দিনে লারার জায়গা হলো বাথরুমের পাশে। লারা বলেন, খেলোয়াড়রা গোসল করতে আসত। আমাকে আমার ব্যাগটা একবার ডানে, একবার বাঁয়ে সরিয়ে রাখতে হতো। সেই ম্যাচে চূড়ান্ত একাদশে আমার জায়গা হয়নি। -সমকাল