দুর্নীতির কলংকে আবারও কলুষিত ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট
ইমরুল শাহেদ : ১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ বার ইন্দোনেশিয়ার স্পিকার সেতিয়া নবান্তোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও প্রতিবারই তিনি রক্ষা পেয়ে গেছেন। রাজনৈতিক কারণেই তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার আর তিনি রেহাই পাননি। গত সপ্তাহে দুর্নীতি দমন তদন্তকারীরা তাকে আটক করেছে। তার এবারের দুর্নীতি ইন্দোনেশিয়ার আইনসভাকেও কলংকিত করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি ন্যাশনাল ইলেক্ট্রোনিক কার্ড তৈরির জন্য যে সরকারি বাজেট দেওয়া হয়েছে তার থেকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার লুঠ করেছেন, যা পুরো প্রকল্পের ৪০ শতাংশ।
৬২ বছর বয়সী রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাধর সেতিয়া নবান্তোর এ অভিযোগ নাকচ করে দলকে বলেছেন তাকে যেন ক্ষমতাচ্যুত না করা হয়। তার আইনজীবী ফ্রেডরিচ যুনাদি আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলেছেন নবান্তোর সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। যুনাদি বলেছে, ‘প্রত্যেক আদালতেই আমরা জয়ী হই।’ তবে নবান্তোর বিরুদ্ধে এবারের অভিযোগটি ইন্দোনেশিয়ানদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাদের ধারণা হয়ে যাচ্ছে যে, দুর্নীতিতে আকন্ঠ হয়ে পড়া তাদের পার্লামেন্ট একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলার ফলাফল যাই হোক না কেন মামলাটি পরিবর্তন হবে না। পিডিআই-পি দলের পার্লামেন্ট সদস্য ইভা সুন্দরী বলেছেন, ‘সেতিয়া নবান্তোর আগেও অনেক সংসদ সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং এতে কোনো সমস্যা হয়নি।’ এই দলটিও ক্ষমতাসীন জোটে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর মৃত্যুর পর ২০০২ সালে করাপশন ইরিডেকশন কমিশন গঠন করা হয়। ইন্দোনেশিয়ায় এই কমিশনটি কেপিকে নামে পরিচিত। এই কমিশনটি পুরোপুরি স্বাধীন। কোনো প্রকার পরোয়ানা ছাড়াই কমিশন যে কোনোও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতে পারে। সরকারের জন্য এই কমিশন একটি আতংক। সূত্র : রয়টার্স