সরকারি অর্থায়নে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন হচ্ছে
সাইদ রিপন : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরে সরকারি অর্থায়নে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রোহিঙ্গাদের আবাসন সংকট নিরসনে আশ্রয়ন-৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আবাসন ও দ্বীপের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে নভেম্বর ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। মন্ত্রী বলেন, নানা কারণে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা বিপন্ন রোহিঙ্গাদের বিশাল স্রোত দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বলপূর্বক এসব রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কক্সবাজারে শরণার্থী রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। প্রতিনিয়ত এখানে পাহাড়ি জমি ও বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। টেকনাফ ও উখিয়ায় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা আছে। সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। বাংলাদেশে পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজার হুমকির মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ রোহিঙ্গার আবাসন সমস্যা নিরসনে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৩ হাজার ২০০ জনের বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হবে। যেখানে ১ হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউজ, ১২০টি শেল্টার স্টেশন থাকবে। এছাড়া উপসনালয়সহ দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ও বাসভবন নির্মিত হবে। এছাড়াও ভাসানচরের অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, নলকূপ, ওয়াচ টাওয়ার, বেড়া নির্মিত হবে। রোহিঙ্গাদের সুবিধায় একটি মাইক্রোবাস, ১২টি মোটরসাইকেল, ২৩টি হিউম্যান হলার, ৪০টি ঠেলাগাড়ি, ৪৩টি ভ্যানগাড়ি এবং ৮টি হাইস্পিড বোট কেনা হবে। বিশাল প্রকল্পের আওতায় গুদামঘর, জ্বালানি ট্যাঙ্ক, হেলিপ্যাড, চ্যানেল মার্কিং, বোট ল্যান্ডিং সাইট, রাডার স্টেশন, সোলার প্যানেল, জেনারেটর, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মিত হবে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন