আমাদের অর্থনীতিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সরকার সরাসরি বলতে পারে বেগম জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না
খন্দকার আলমগীর হোসাইন : বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছে এ পর্যন্ত সবগুলোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। তাকে প্রতি সপ্তাহে দুইবার আদালতে যেতে হয়। কমপক্ষে একবার। এটা হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। তার বয়স, অতীত ও বর্তমান রাজনীতিতে তার অবস্থান, অবদান, মানুষের অনুভূতিকে উপেক্ষা করে এ কাজটা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়Ñ আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মামলা আমাদের নামেও রয়েছে। আমরাও তো আদালতে যাই। আমাদের মামলা দুইতিন মাস পরে তারিখ পড়ে। কিন্তু বেগম জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে কোর্টে আনা নেওয়া করা হচ্ছে, এটাই তো বড় শাস্তি। আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষও অনুভব করতে পারে বিষয়টি। আপনার আমার আর সাধারণ মানুষের অনুভূতি কিন্তু এক। অনেকদিন যাবৎ বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে থেকে দূরে রাখার একটা ষড়যন্ত্র চলে আসছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, বিএনপির উল্লেখযোগ্য নেতারা গত নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন, তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। যখন সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা আসে, তখন কাউকে নির্বাচনের বাইরে রাখা সুখকর না। সাধারণ মানুষও একই কথা বলবে। কী, বলবে না বলুন? অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন মানে সবার সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। তা না হলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সংঘাতের আশঙ্কা থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, সরকার সরাসরি বলতে পারে বেগম জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা। সাধারাণ মানুষও ভাবেÑ মামলাটা বেগম জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কৌশল কি না? সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অসদাচরণ করছে, এটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, সরকার বা আওয়ামী লীগ দেশের মালিক আর বাকিরা প্রজা, এমনটি ভাবা সঠিক নয়। এখন অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হয়। সভা-সমাবেশের অধিকার তো দেশের জনগণকে সংবিধান দিয়েছে। তারা আমাদের সমাবেশ করতে দিয়েছে নানা শর্ত দিয়ে। এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না। এ আচরণ তো গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না। সরকারকে সবার সঙ্গে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মৌলিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। সম্পাদনা : আশিক রহমান