গৃহহীন মানুষ যাবে কোথায়?
নদীভাঙ্গনের কবলে গ্রাম থেকে ছুটে আসা গৃহহীন মানুষের কাছে জানতে চাইলাম, কেন তারা গৃহহীন হলেন? এর মধ্যে বৃষ্টি, ফুলবানু, মৌসুমী, তাসলিমার সাথে কথা বলে যা জানলাম, কেউ নদী ভাঙ্গনের শিকার কেউ বা স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্ত। এদের সাথে একাধিক শিশুকেও দেখতে পেলাম। যারা নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে শতভাগ বঞ্চিত। বিত্তবানদের দান-খয়রাতের উপর তাদের জীবন চলছে কিন্তু এমনটিতো হওয়ার কথা ছিল না। এক সময় তাদের নিজেদের সংসার ছিল অল্প কিছু হলেও জমি ছিল। সবকিছু হারিয়ে আজ তারা গৃহহীন হয়েছেন। কখনো তারা ভাবতে পারেননি একদিন তারাও গৃহহীন হবেন। সারা বাংলাদেশে যেখানে যাবেন সেখানেই এইসব অসহায় গৃহহীন নারী-পুরুষ শিশুদের দেখতে পাবেন। এদেরকে নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা সভা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর সব দেশেই গৃহহীন মানুষ রয়েছেন। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক একাধিক সংগঠন কাজ করছেন। দেশ স্বাধীনের পর থেকে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটি একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। গৃহহীন মানুষদের কথা জানার পর আশা করি কর্তৃপক্ষ নুতন করে বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। কখনো গৃহহীন মানুষদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাড়ি করে দিচ্ছেন, কাউকে বা কর্মের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এর ফলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন মানুষদের জন্য থাকা ও কর্মের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তাহলে সমস্যাটার সমাধান সম্ভব। তা না হলে এদের দ্বারা নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত হওয়া সম্ভাবনা আছে। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচীর দিকে দৃষ্টি দিয়ে গৃহহীন মানুষের জন্য একটি উপযুক্ত থাকার স্থান ও কর্মের ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দিবেন।
লেখক : কলামিস্ট
সম্পাদনা : আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ