শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট
তপু সরকার ,শেরপুর : শেরপুর জেলা হাসপাতালটি চিকিৎসকের অভাবে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, আসলে কনসালট্যান্ট না থাকায় অনেক রোগী নিজেরাই রেফার চায় । হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকায় মেডিসিন কনসালট্যান্ট হৃদরোগীদের এবং অর্থোপেডিক সার্জন না থাকায় সার্জারি কনসালট্যান্ট অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সেসব রোগী দেখছেন । আমরা সাধারণ মানুষকে হাসপাতালে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি । হাসপাতালের নিচতলার রেডিওলোজি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, দুজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলোজি) পরীক্ষার জন্য আসা রোগীদের স্লিপ এন্ট্রি করছেন খাতায় । টেকনোলজিস্ট মো. আবু হাসান খান বলেন, আমরা রোগীদের এক্স-রে করলেও রোগীরা কেবল ফিল্ম পাচ্ছে, কিন্তু রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না ।
কারণ কি জানতে চাইলে তিনি জানান, রেডিওলোজি বিভাগে একজন কনসালট্যান্ট ও একজন রেডিওলোজিস্টের পদ রয়েছে। কিন্তু এই দুটি পদই খালি । প্রায় আট বছর ধরে রেডিওলোজিস্ট নেই। আর জুনিয়র কনসালট্যান্ট (রেডিওলোজি) পদটিও দেড় বছর ধরে শূন্য । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার চায় সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স কম ব্যবহার হোক । কারণ তেলের ভর্তুকি এবং মেইনটেন্যান্স কস্ট (মেরামত খরচ) আয়ের তুলনায় অনেক বেশি । এ জন্য ব্যয় সাশ্রয় করতে অ্যাম্বুল্যান্স যেন কম চলাচল করে তার একটা অলিখিত নির্দেশনা থাকে । বার্ষিক তেল ও মেইনটেন্যান্স কস্ট পর্যালোচনা করলেই সেটা পরিষ্কার হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান