চিটাগংকে হারিয়েও মুখে হাসি নেই রাজশাহীর
আক্তারুজ্জামান : সিলেটের মতো শক্তিশালী স্বাগতিক দল হতে পারলো না চিটাগং। সিলেট তাদের মাঠে ধারাবাহিকভাবে জিতলেও চিটাগং ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে। যার একটি গতকাল রাজশাহীর কাছে। তবে স্বাগতিক চিটাগংকে হারিয়েও মুখে হাসি নেই ড্যারেন স্যামির।
স্যামির দল ১০ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ৪টিতে। ৮ পয়েন্ট পকেটে নিয়ে তারা বিপিএলের সুপার ফোরে উঠতে পারবে কি না তা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজশাহী শিবির। এই চিন্তাই যেন রাজশাহী সেনাদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। গতকাল চিটাগংয়ের ঘরের মাঠে রাজশাহী কিংসের দেয়া ১৫৮ রানের জবাবে স্বাগতিকরা ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি। সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান জাতীয় দলের দুই তারকা আনামুল ও সৌম্য সরকার। ছন্দ ফিরে পাওয়া মুস্তাফিজ ও অভিষিক্ত কাজি অনিকের বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। সেখান থেকে ভাইকিংসদের ম্যাচে ফিরে আসার আর কোন সুযোগ দেয়নি স্যামিরা। রাজশাহী কিংসের বোলারদের জালে পড়ে ৪ বল বাকি থাকতে ১২৪ রানে অল আউট হয় চিটাগং। ফলে ৩৩ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্যামি বাহিনী। আর এই জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার কাজি অনিক।
অভিষেক ম্যাচেই ৩.২ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্বরূপে ফিরেছেন মুস্তাফিজও। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এদিন চিটাগংয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। তার জায়গায় উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জাকির হোসেন।
গতকাল টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীর সংগ্রহ দাড়ায় ১৫৭ রান। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন ড্যারেন স্যামি। ২৫ বলে তিনি করেন ৪০ রান। যার মধ্যে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছয়। আর ফ্রাঙ্কলিন করেন ৩০ রান। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ২৫ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা ড্যারেন স্যামি। ১০ ম্যাচে ৪ জয় ও ৬ পরাজয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ এ অবস্থান করছে রাজশাহী। চিটাগং সমান সংখ্যক ম্যাচে ২ জয়ে একেবারে তলানিতে আছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন