শাজনীন হত্যা মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর
নুরুল আমিন হাসান : আলোচিত শাজনীন হত্যা মামলার আসামি শহীদুল ইসলামের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তিনি জানান, আজ (বুধবার) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে শহীদুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
শহীদুল ছিলেন শাজনীনদের বাড়ির পরিচারক। শাজনীন হত্যাকা-ের পর পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ রায় দেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুন এবং সহযোগিতার দায়ে শাজনীনদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, হাসানের সহকারী বাদল, শাজনীনদের বাড়ির পরিচারক শহীদুল, কাঠমিস্ত্রি শনিরাম ম-ল এবং গৃহপরিচারিকা এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীনকে মৃত্যুদ-াদেশ দেন বিচারক। আসামিদের মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) ওই বছরই মামলাটি হাইকোর্টে আসে। দ-াদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিলও করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৬ সালের ১০ জুলাই আসামি হাসান, শহীদুল, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। অপর আসামি শনিরাম ম-ল খালাস পান। পরবর্তীতে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন মৃত্যুদ-াদেশ বহাল থাকা চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ওই চার আসামিকে আপিলের অনুমতি দেন। অপর আসামি শহীদুল পরে জেল আপিল করেন। আসামিদের করা আপিলের ৭ বছর পর অবশেষে চূড়ান্ত রায় হলো গতকাল।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল নিজ বাড়িতে নিহত হন শাজনীন তাসনিম রহমান। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের মেয়ে। তখন তিনি স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম