রোহিঙ্গা ঠেকাতে সীমান্তে আরও ৬ হাজার সেনা মোতায়েন করছে ভারত
রাশিদ রিয়াজ : আসামের করিমগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আরো ৬ হাজার সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে যাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে। গত আগস্ট মাসের পর বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নেওয়ার পর তাদের কেউ অথবা উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয় সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা যেতে না পারে সেজন্যেই এই বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
বিএসএফ’এর অন্তত ৫ ব্যাটালিয়ন সেনা (প্রতি ব্যাটালিয়নে ১২’শ সেনা) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নামানো হচ্ছে। বিএসএফ দাবি করছে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৭ জন রোহিঙ্গা মুসলমান ভারতে ঢুকে পড়ে যাদের মধ্যে ৩১ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গা দেখা মাত্রই তাদের গ্রেফতারের পরিবর্তে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
বিএসএফ’এর মহাপরিচালক কেকে শর্মা নয়া দিল্লিতে এক সম্মেলনে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু জটিল একটি সমস্যা। তাদেরকে গ্রেফতার না করে পুশব্যাকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করলে তা দায়বদ্ধ হয়ে যাবে এবং তাদের চিহ্নিতকরণের একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বেশ কয়েক দফায় আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বিএসএফ এধরনের সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কক্সবাজারের কুতুপালং’এ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গারা যাতে ভারতের জম্মু কাশ্মীর, তামিল নাড়ু ও পশ্চিম বাংলায় না যেতে পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখা হয়েছে। কেউ দালালদের সাহায্যে বা অর্থের বিনিময়ে কোনো রোহিঙ্গা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়টিও মাথায় রেখে তৎপর রয়েছে বিএসএফ।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, ভারতে প্রবেশ করে রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই জম্মুতে চলে যেতে চেষ্টা করে কারণ এর আগে বেশ কিছু রোহিঙ্গা সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের সরকারি হিসেবে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান ভারতে রয়েছে। তাদের পুশ ব্যাক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ভারতের উচ্চতর আদালতের তরফ থেকে এর ওপর এক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।