পোপ ফ্রান্সিসের জন্য সোহওয়ার্দীতে কুঁড়েঘর
মবিনুর রহমান : গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিশু। ঠিক তার আদলেই সোহওয়ার্দীতে তৈরি করা হয়েছে বাঁশ, চটি আর খর দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন কুঁড়েঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুঁড়েঘর ঘিরে কর্মীদের পূর্বপ্রস্তুতি চলছে।
কুঁড়েঘরের ভেতর চটের দেয়ালে যিশু খ্রিস্টের শূলে চড়া ক্রুশবিদ্ধ প্রতিকৃতি। তা ঘিরে চলছে যাজকদের মধ্যে মতবিনিময় ও সাজসজ্জা। পোপকে তারা কীভাবে বরণ করবে, তার কাছে কী কী বিষয় পরিবেশিত হবে- চলছে তার মহড়া। মঞ্চের পূর্বপাশে খ্রিস্টীয় ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনে গলা সাধছেন নারী-পুরুষেরা। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা লাগাতে ব্যস্ত ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা।
এ বিষয়ে পোপ ভিজিট মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক ফাদার জর্জ পনদাথ জানান, দুই ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে শুক্রবার সকালে অংশগ্রহণ করবেন পোপ। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার খ্রিষ্টান ধর্মীয় অনুরাগী অংশগ্রহণ করবেন। এটাকে মূলত প্রার্থণার অনুষ্ঠান বলা যায়। এই মঞ্চ থেকেই পোপ শান্তির বাণী শোনাবেন। এছাড়া বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ১৬ জন ডিকনকে ধর্মযাজক পদে অভিষিক্ত করবেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত শান্তিতে সুশৃঙ্খলভাবে পালিত হয়। তাই একদিন আগে থেকেই মহড়া চলছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ২৬ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর ঢাকার বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার জন্য নেমেছিলেন পোপ ষষ্ট পল। সেটাই ছিল বাংলাদেশে কোনো পোপের প্রথম পদার্পণ। এরপর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল। তিন দশক পর তৃতীয়বারের মতো কোনো পোপ বাংলাদেশে এলেন।