মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয় : পরিকল্পনামন্ত্রী
সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গতকাল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জমিয়াতুল মোদাররেছীন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জমিয়াতুল মোদাররেছীন একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংগঠন। অরাজনৈতিক সংগঠনটি মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাথে থেকে দেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংগঠনের শিক্ষকরা দেশে একটি সুন্দর ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এরা ইসলামের লেবাসে ক্ষমতার মোহে অর্থের বিনিময়ে কোন অপরাজনীতির সাথে জড়িত নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাদরাসাগুলোকে কুরাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে হবে। অপরাজনীতি থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের দূরে থাকতে হবে। এছাড়া ইসলামী শিক্ষায় দিন দিন মাদ্রাসা শিক্ষকদের সম্মান বেড়েই চলছে। জাতীয় সংসদেও প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষকদের সম্পর্কে অনেক ইতিবাচক কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদাররেছীন মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া চিহ্নিত করে সেগুলো আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক দাবি পূরণও হয়েছে। বাকিগুলোও পূরণ হবে। বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্তিসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষক বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন এবং শুভাকাঙ্খী। এ শিক্ষা উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ দেশে একটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল প্রায় শত বছরের। দেশের পীর-মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম, মাদরাসা শিক্ষক ও কর্মচারীদের একক, অরাজনৈতিক ও শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জমিয়াতুল মোদাররেছীন দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও ইসলামী জনতা এ দাবির প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন এবং তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে একনেক সভায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ