রুবানা আপাকে শুধু জেগে থাকায় ফেলে গেলেন মুন্নী সাহা
আমার বিচার করার জন্য বন্ধু নাইমুজ্জামান মুক্তাকে নালিশ করেছে রুবানা হক আপা, ‘মুক্তা, তুমি এই দুষ্টুটার বিচার করবে, আমার আলাভোলা স্বামীটাকে ওর নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’তে নিলো আর শয়তানটা প্রথম প্রশ্ন করে, মাননীয় মেয়র, আপনাকে কি মশা কামড়ায়?’
আমি জানি, রুবানা আপা আমার মত মুখভঙ্গি করে, ভেংচি কেটে গবের্র সাথেই এই মিষ্টি অনুযোগ করছিলো, একসাথে দু’জনকেই এপ্রিসিয়েট করার জন্য। কতটা ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছেন তার বাকপটু, সুদর্শন, কর্মবীর স্বামী আর রুবানার শিষ্যা, পরিশ্রমী, ইমোশনাল ঠোটকাটা সাংবাদিক হিসেবে আমিই বা কতটুকু ভাল করেছি।
নেপথ্যে থাকা এই মেন্টর, রুবানা হক এনজয় করতেন পর্দার সামনে আমাদের এই ফাটাফাটি!
সিস্টার না, আনিসভাই ডাকতেন, ‘সিস্টারিং’। আর মেয়র হওয়ার পর আমি ডাকতাম, ‘হাফ মেয়র’!
রুবানার বকা খেতে আমার ভালো লাগে। হাফ মেয়র বা, রুবানা আপাকেই চিৎকার করে ও মেয়র সাব্ ও মেয়র সাব্ ডাকতাম তখন আমাকে মার লাগাতে তেড়ে আসা রুবানার ভঙ্গিটা আনিসভাইয়ের পছন্দ ছিলো।
এই দুষ্টুমির অন্তর্নিহিত ছবিটা হলো ‘যুগল’। সবাই আনিসভাই, তার স্টারডম, ব্যবসায়িক সাফল্য, নেতৃত্ব দেখেছেন, অনেক আগে থেকে হয়তো। তবে আমি যতদিন আনিসভাইয়ের ‘সিস্টারিং’ তখন থেকে, আ কমপ্লিট ম্যান অর সাকসেসফুল উইম্যান যাই বলিনা কেন, সবটাতেই এই যুগল ছবিটা দেখেছি, ভেবেছি।
গত আগস্ট থেকে একটিদিন, একটিবারের জন্যও আমার মনে হয়নি যে আনিসভাইয়ের এই ঘুম আর ভাঙবে না। কারণটা রুবানা, আনিস ভাইয়ের ‘রুবু’। যে নিদ্রাহীন, যুগলবন্দির ব্যালেন্স করছে স্বামীর শিয়রে।
গতকালই কেমন জানি স্বার্থপর মনে হলো আনিসভাই আপনাকে। পালাক্রমে যুগলের ‘ঘুম থেকে জেগে ওঠার’ ব্যালেন্স ভেঙে আমার রুবানা আপাকে শুধু জেগে থাকায় ফেলে গেলেন।
আমি জানি, রুবানা এই জেগে থাকাকেও পরিণত করবে সৃষ্টিশীলতায়, করে তুলবে স্মার্ট। আর স্মার্টনেসের বাংলাতো ‘আনিসুল হক’!
জয় হোক অনন্তনিদ্রার। মুন্নি সাহার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া- সান্দ্রা নন্দিনী