কক্সবাজারে ৯৭ রোহিঙ্গা এইডস রোগে আক্রান্ত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি
শ. ম. গফুর, উখিয়া, কক্সবাজার : আবাসিক ভবনে রোহিঙ্গা নারীদের যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার করছে স্বার্থান্বেষী মহল। এ কারণে এইডস ভাইরাসের জীবাণু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে গতকাল শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা প্রশাসনের সহায়তায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে আশ্রয় পাচ্ছে। তবে অনেক রোহিঙ্গা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে আশ্রয় নিচ্ছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ আশপাশের জেলায় তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের কাছেও তারা আশ্রয় নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজারের সাড়ে তিনশ হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজ রয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের এসব হোটেল-মোটেলে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে এইডস আক্রান্তরাও রয়েছে। তাদের সঙ্গে পর্যটকসহ হোটেল-মোটেল শ্রমিকদের শারীরিক মেলামেশায় এইডস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর মাধ্যমে সারাদেশে এইডস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, পালিয়ে আসা এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এইডস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয় অনেকে যৌনকর্ম করায় দেশে এইচআইভি ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুস সালাম বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৯৭ জনের এইচআইভি ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে ৯২ জন আগে থেকেই আক্রান্ত ছিল। নতুন করে চিহ্নিত হয়েছে আরও পাঁচজন। তিনি বলেন, এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করতে টেকনাফ ও উখিয়ায় দুটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। সাধারণ রোগের চিকিৎসায় রক্ত পরীক্ষা করিয়ে অনেকের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া গেছে। তবে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকের রক্ত পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান