অস্ত্র বিক্রির কথা মিয়ানমার স্বীকার করলেও ইসরায়েলের অস্বীকার
আরটিএনএন : মিয়ানমারের কাছে ইসরায়েল অস্ত্র বিক্রি করছে বলে তেল আবিবে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত স্বীকার করার পরপরই ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সেদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ মং মং লিন দাবি করেন যে ইসরায়েল এখনো মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি করছে। এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান নিয়ে বিশ্বব্যাপী তুমুল প্রতিবাদের মুখে ইসরায়েল এই সিদ্ধান্ত নেয় বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দাবি করে। মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করার কথা স্বীকার করে ইসরায়েল জানায় যে এক মাস আগ থেকে সবধরনের সামরিক বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের কথা বলা হলেও নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য যেমন নজরদারির প্রযুক্তি বা সামরিক প্রশিক্ষণ সেবা বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সাক্ষাতকারে মং লিং আরো বলেন, ইসরায়েলি অস্ত্র প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে ইসরায়েলের কোনো বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু ইসরায়েলি আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা রফতানি শেষ পর্যন্ত কিভাবে ব্যবহার করা হবে তাও বিবেচনায় নিতে হবে বলে মন্ত্রণালয় দাবি করে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেস্কের দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক গিলাদ কোহেন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন যে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। কয়েক দিন আগে মং লিন একই ধরনের বক্তব্য দেয়ার পরও তাকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়। ইসরায়েলের এক্টিভিস্ট ও আইনজীবী ইতাই ম্যাক অনেক দিন ধরে মিয়ানমারে ইসরায়েলি অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। এসব অস্ত্র সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অস্ত্র বিক্রি নিয়ে বক্তব্যের কারণে মিয়ানমার দূতকে তলব করায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিন্দা করেন তিনি।
ম্যাক বলেন, মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যে পরস্পরবিরোধি বক্তব্য দিচ্ছে ইসরায়েলের জনগণ তা কিভাবে নেবেন? কেন মন্ত্রণালয় নৈতিকভাবে সঠিক প্রমাণিত হয় এমন কোনো বিবৃতি দিতে পারছে না। কেন তারা বলতে পারছে না যে ইসরায়েল রাষ্ট্রটি মায়ারমারের কাছে সবধরনের প্রতিরক্ষা রাফতানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ