বিনিয়োগ করার নিরাপদ স্থান বাহরাইন
মো. মোবারক হোসেন : বাহরাইনে বাংলাদেশের বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বাহরাইনে মাত্র ১০ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ২ থেকে আড়াই লাখ বাংলাদেশী। বেশির ভাগই লেবার হিসেবে এদেশে এসেছেন। আশার কথা হলো, বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা এখন বাহরাইনে ব্যবসা করছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বাংলাদেশের অনেক পণ্য রয়েছে যেগুলোর বাহরাইনে চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পাটজাত পণ্য, কুটি শিল্প, কৃষি পণ্য অন্যতম। পৃথিবীর কোনো দেশে প্রবাসীদের ব্যবসা করার এমন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। ব্যবসা করার জন্য খুবই সম্ভাবনার একটি দেশ বাহরাইন। বিভিন্ন সেক্টরে এখানে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। যেমন কনস্ট্রাকশন, পর্যটন, রেস্টুরেন্ট, চিকিৎসা অন্যতম। সবিধা হচ্ছে ব্যবসা শুরু করা যায় অনায়সে। বাংলাদেশে তুলনায় বাহরাইন ব্যবসা করা অনেক সহজ। আমি নিজেও নিন্নাস গ্রুপ নামে আমার যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিনিয়োগ করছি। সফলতা পাচ্ছি। কোনো রকম চাঁদাবাজি, হয়রানি, রাজনীতিক অস্তিরতা এখানে নেই। সাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করা অনন্য যায়গা বাহরাইন। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেটার প্রয়োজন সিকিউরিটি, সেটা এখানে শতভাগ রয়েছে। অতিরিক্ত ট্যাক্স বা বাড়তি কোনো চার্জ দিতে হয়। এখানে আমার লিন্নাস হসপিটাল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন ব্যবসার সম্ভাবনা প্রচুর। বাইরাইন একটা দ্বীপ রাষ্ট্র। গালফের মধ্যে উন্নত একটি দেশ বাহরাইন। পুরা দেশটাই পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। রেস্টুনরেন্ট ব্যবসা এখন খুবই ভালো বাহরাইনে। ব্যবসায়ী কমিউনিটির লোক হিসেবে নতুন কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে আমরাও তাদের সহযোগিতা করবো। বাংলাদেশীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য বাহরাইনস্থ দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ-বাহরাইনের চেম্বারের সাথে যৌথ ব্যবসায়িক প্রতিনিধির সফর হতে পারে। দূতাবাসের উদ্যোগে মেলার আয়োজন করা যায় বিভিন্ন সময়ে। আইটি সেক্টরেও বিনিয়োগ করা সুযোগ রয়েেেছ। যৌথ চেম্বারের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে পারে সরকার। আমরা চাই যৌথ চেম্বারে করার ক্ষেত্রে সরকার সহযোগিতা করবে। যেহেতু আমাদের দেশের জনসংখ্যা বেশি সেহেতু সরকারের উচিত হবে বিভিন্ন দেশে ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করা। পৃথিবীকে এখন গ্লোবাল ভিলেজ বলা হয়। উত্তর পাড়ার খবর যেমন দক্ষিণ পাড়া থেকে নেয় যায়, পৃথিবীটা এখন এমন। তথ্য প্রাপ্তি অনেক সহজ হয়েছে।
পরিচিতি : বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সিইও, লিন্নাস গ্রুপ, বাহরাইন
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন