প্রধানমন্ত্রী তার বাবার আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন
বঙ্গবন্ধু এদেশের মুক্তির জন্য, এদেশের জনগণের জন্য, ১৯৪৮ সাল থেকে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি কতবার জেলে গেছেন এটার হিসেবে নেই। ২৩ বছরের মধ্যে প্রায় ১২ বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। যখনই দেশের উপর কোনো সামরিক নির্যাতন, অত্যাচার এসেছে, তখনই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এই মহান নেতার মেয়ে হচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের জন্য নিজকে উৎসর্গ করা, সংগ্রাম করা, এসবকিছুই শেখ হাসিনা নিজ চোখে দেখেছেন। যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে আটক করা হলো, তখন সারা দেশজুড়ে একটি রুক্ষ, দমবন্ধ হওয়া আবহাওয়া বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্দোলনে রাস্তায় নামল। ছাত্র আন্দোলন থেকে ধীরে ধীরে সেটা গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হলো। সেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কোথায় যে চলে গেল। যিনি ঐ মামলার বিচারক ছিলেন তিনি পালিয়ে গেলেন। এগুলো আমরা যেমন দেখিছি, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেখেছেন, শুনেছেন, অনুভব করেছেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ছাত্রসমাজকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনলেন। যুদ্ধ হলো, ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ দিলো, কয়েক লাখ মা-বোন নির্যাতিত হলো, দেশ স্বাধীন হলো। স্বাধীনতার পর যখন বঙ্গবন্ধু দেশটিকে গড়ে তুলছেন, তখনই দেশে সামরিক শাসন হলো এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আর এই সব কিছুরই সাক্ষী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বাবার সকল কিছুই অনুভব করেছেন। তাই তার কোনো চাহিদা নেই। বাবার মতো জনগণের জন্য, দেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে যাচ্ছেন। ১৯৮১ সালে তিনি দেশে এসে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। দেশে গণতন্ত্র স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখেন। সেই সময় যদি আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র স্থাপনে ভূমিকা না নিতেন, আজও হয়তো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন। তারপর থেকেই তিনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর মতো, তাকেও মারার জন্য বহুবার হামলা করেছে। তবু তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার নিজের কোনো চাওয়া নেই। তার চাওয়া হলো দেশের মানুষের কল্যাণ। দেশের মানুষের উন্নয়ন। যেটা তার বাবার স্বপ্ন ছিলো। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই মুক্তি অর্থনৈতিক মুক্তি। আর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শেখ হাসিনা সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও সাদামাটা, স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। তাই তিনি ১৭৩ দেশের মধ্যে তৃতীয় সৎ লোক নির্বাচিত হয়েছেন। এটা তার প্রাপ্য। তাকে স্বীকৃতির সাথে বাংলাদেশকেও স্বীকৃতি দেওয়া হলো। সাধারনত উন্নত দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সততার যেই দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, এটা তার বাবার আদর্শকে ধারণ করেই দেখিয়েছেন। আমরা বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় দেখেছি, দেশ টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে প্রথম হয়েছিল। সেইখান থেকে শেখ হাসিনা দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করছেন।
পরিচিতি : উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, আওয়ামী লীগ
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ