বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারে আজীবন সুবিধা চান অবসরে যাওয়া সচিবরা
আনিসুর রহমান তপন : সরকারি চাকরি শেষ হওয়ার পরও আজীবন বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পেতে চান অবসরে যাওয়া সচিবরা। সরকারের পক্ষ থেকে এমন সুবিধা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন, বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ প্রস্তাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও সাংবিধানিক পদের অধিকারি ব্যক্তিদেরও এই সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাবটি শুধু অবসরপ্রাপ্ত সচিবগণের জন্য দেয়া হয়নি। এর সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সাংবিধানিক পদের অধিকারি ব্যক্তিগণকেও অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় দেখা যায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা সচিবগণ বিদেশ ভ্রমনের সময় ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারে সুবিধা চেয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। সব অনুরোধ সব সময় রাখা সম্ভব হয়না। ফলে অনেক সময় কর্মকর্তাদের বিব্রত হতে হয়। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি বলেন, তবে এই প্রক্রিয়াটা একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে করতে চাই যাতে সংশ্লিষ্টরা কেউ বঞ্চিত বা হতাশ না হন।
বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বর্তমানে সচিবগণ অবসর গ্রহণের পরে ৩ বছর পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এটি আজীবন করা প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি সংসদ অধিবেশন চলাকালে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের আজীবন ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা দাবি করেন। এপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সাংবিধানিক পদের অধিকারীগণকে আজীবন বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি দিতে নির্দেশনা প্রদান করেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অবসরপ্রাপ্ত সচিবদের অনুকূলে বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা ৩ বছরের পরিবর্তে আজীবন দেয়ার সুপারিশ করে। এতে এসব বিষয় বিবেচনায় প্রাক্তন মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য সাংবিধানিক পদের অধিকারিগণকেও আজীবন এই সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা:হুমায়ুন কবির খোকন