ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগ নেত্রী হত্যাকা-ের ঘটনার তথ্য চেয়ে পুলিশের পুরস্কার ঘোষণা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না আক্তারকে হত্যার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেফতারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়ার পর পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। এদের মধ্যে দুইজন স্বপ্নার ভাইয়ের করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এ অবস্থায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
শনিবার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রামে নিহত স্বপ্নার বাড়িতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল এক লাখ টাকা ও নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, ইতোমধ্যে এ হত্যাকা-ের ঘটনায় আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি তার মধ্যে ২ জন এজাহারভুক্ত। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে কেউ যদি উপযুক্ত তথ্য দিতে পারেন তাহলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি তথ্যদাতার নামও গোপন রাখা হবে।
এদিকে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, আমরা গ্রেফতারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই এ হত্যাকা-ের রহস্যের জট খুলবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বপ্নাকে মাথায় গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এদিন মধ্যরাতে নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বপ্নার ভাই আমির হোসেন।
মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে স্বপ্নার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। মামলার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীর নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে আটক করে। এরপর ২৫ নভেম্বর রাতে আবু জাহের ও সাঈদ নামে দুইজনকে আটক করে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান