পর্চা নিতে ৫৬ শতাংশ গ্রহীতাকে ঘুষ দিতে হচ্ছে : টিআইবি
তানভীর আহমেদ : জেলা পর্যায়ের ভূমি রেকর্ড রুম থেকে জমির পর্চা উত্তোলনের জন্য ৫৬ শতাংশ সেবাগ্রহীতাকে গড়ে ৭৩৭ টাকা করে ঘুষ দিতে হচ্ছে। অথচ যেসব ইউডিসিতে ভূমি ব্যবস্থা ডিজিটাইজ হয়েছে সেখানে কোনও ধরনের আর্থিক অনিয়ম ছাড়াই সেবা গ্রহীতারা সেবা নিতে পারছেন। গতকাল রোববার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত ‘নাগরিক সেবায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার : ভূমিকা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব কথা বলা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে থেকেই ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাইজেশন শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট অনেকের অনীহার কারণে তা পুরোপুরি ডিজিটাইজ সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াটা বেশ কয়েক বছর আগে থেকে নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও খুব বেশি তা বাস্তবায়ন হয়নি। ইউডিসির সেবা নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের মোটামুটি সন্তুষ্ট হলেও জমির পর্চা, পাসপোর্টের ফরম পূরণ ও জন্মনিবন্ধন উত্তোলনের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের তথ্য তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেছে। তবে বিদ্যুৎ না থাকা, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা, ইউপি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়েছে। আর একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, তা হলো প্রচারণার যথেষ্ট ঘাটতি। অনেকে জানেন না ইউডিসিতে কি কি সেবা পাওয়া যায় কিংবা সেবা সংশ্লিষ্ট অনিয়মে কোথায় অভিযোগ দিতে হয়। এ খাতটি পুরো ডিজিটাইজ না হওয়ার কারণ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা এ খাতটি পুরোপুরি ডিজিটাল হোক তা চান না। কারণ, পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে গেলে এ খাতে দুর্নীতি অনেক কমে আসবে। ফলে এসব কর্মকর্তা বা কর্মচারীর দুর্নীতির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।