রোহিঙ্গা ইসু্যুতে কম্বোডিয়ার সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটের কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করতে কম্বোডিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন শান্তিপূর্ণ সমাধানে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। তথ্যসূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে তাদের ঘরে ফিরতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। হুন সেনের কাছেও আমি সহযোগিতা চাইছি, যাতে এ সংকটের একটি টেকসই সমাধানে আমরা পৌঁছতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সাম্প্রতিক কিছু আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষই সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের কথা বলেছে। আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও কথা বলেছি, যা আমাদের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বিনষ্টের হুমকি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বইতে হচ্ছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ মানুষ মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়েও আলোচনা করেছি, যা কিনা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একযোগে কাজ করবে। দেশে ১৬ কোটি মানুষ থাকার পরেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দান এবং তাদের বিষয়টি নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়ায় আমরা বাংলাদেশের প্রশংসা করছি।
কম্বোডিয়াকে বাংলাদেশের নিকটতম আঞ্চলিক প্রতিবেশী আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দুটি দেশ একই রকম শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের প্রত্যাশী। তিনি বলেন, আমরা অনেক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ফোরামে পরস্পরকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করে থাকি। বিশেষ করে এআরএফ, আসেম, এসিডি এবং জাতিসংঘে।
কম্বোডিয়ায় নিজের সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার ও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আলোচনার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক এবং একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ