দুগ্ধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিমানের সাফল্য
মবিনুর রহমান: বিমান বাংলাদেশের নিজস্ব ফার্মে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ। গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি এ তথ্য জানান। মেরাজ জানান, বাংলাদেশ বিমানে যে খাবার পরিবেশিত হয় তার সবটাই আসে আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত খামার থেকে।
আমাদের ক্যাটারিং সার্ভিস বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ও পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও মালেশিয়া এয়ার লাইনন্স থেকে এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত। পাশাপাশি এই ক্যাটিারিং সেন্টার হচ্ছে আইএসও ৯০০০, ২০০০, ফুড সেফটি, বিএসটিআই স্বীকৃত। তিনি জানান, এই ক্যাটিরিং ফার্ম থেকে প্রতিদিন ৮ হাজার থেকে সারে ৮ হাজার দুধ তৈরী হচ্ছে । যে খাবার সার্ভিস দেয়া হচ্ছে ৫০ হাজার ফিট উপর থেকে । শুধু বিমান না ৪টা এয়ার লাইনন্স নিয়মিত খাবার নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। বিমান বাংলাদেশ থেকে ২২ টা এয়ার লাইনন্স অন্যান্য সার্ভিস নিচ্ছে বলেও জানান তিনি । শাকিল জানান, এই ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে আমরা প্রতি বছর লাভ করছি । এখানে সব ধরনের খাবার তৈরী হচ্ছে। সাভারে ৭৬ বিঘা জমিতে আমরা খামার তৈরী করছি । হাস মুরগী গরু সহ এখানে বিভিন্ন প্রজেক্ট আমরা হাতে নিয়েছি। পোল্ট্রি কমপ্লেক্স সেখান থেকে আমাদের র মেটারিয়ালস আসছে।
তিনি জানান, বিমানের যাত্রীরা চাওয়া মাত্রই তাদের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিনি মুক্ত খাবার, শিশুদের জন্য চকোলেট, কেক ছাড়াও চাহিদা মোতাবেক খাবার পরিবেশন করে থাকি আমরা।
তিনি আরো জানান, অন্যান্য এয়ার লাইসেন্সে যেকোনো খাবার কিনে খেতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এয়ার লাইসেন্সে খাবারের জন্য আলাদাভাবে কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। বিমানের সেবা নিয়ে তিনি আরো বলেন, এইযে খাবারের সাপ্লাই চ্যানেল যে আমরা তৈরী করে ফেলেছি। বাংলাদেশ বিমানের জন্য এটা গর্বের বিষয়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম