নতুন বছরে ফের, এবার শিহরণ বাড়াবে রক্তবর্ণ ‘সুপারমুন’
সংবাদ প্রতিদিন : রোববারের রাতে ‘সুপারমুন’ মিস করেছেন? নিকশ কালো আকাশে ঝলসানো রুটির সদৃশ সে সুধারস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মন খারাপের কিছু নেই। কারণ, আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে ফের একই মহাজাগতিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারবেন। নতুন বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১ এবং ৩১ জানুয়ারি যামিনী রঞ্জিত হবে সেই পূর্ণ শশীতে। একে নাসা ‘সুপারমুন ট্রিলজি’ নামে আখ্যা দিয়েছে।
পৃথিবীর খুব কাছে নতুন বছরেই আবার চলে আসবে চাঁদ। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এমন পূর্ণিমাকে সাধারণত ‘কোল্ড মুন’ বলা হয়। ২০১৭ সালে প্রথম এবং একমাত্র এই সুপারমুন স্বাভাবিকের তুলনায় ৭ শতাংস বড় ও ১৫ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল ছিল। নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখের সুপারমুন কিন্তু উত্তর আমেরিকার পশ্চিমভাগ থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল-সহ পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা যাবে। তবে সেই চাঁদের রং হবে রক্তাভ। সূর্যরশ্মির বিকিরণের প্রভাবে লাল রঙের এই চাঁদকে ‘ব্লাডমুন’ও বলেছেন গবেষকরা। কিন্তু কেন হয় সুপারমুন? সুপারমুন কথাটির জ্যোতিষশাস্ত্রে কোথাও উল্লেখ নেই। এই কথাটি আসে ১৯৭৯ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড নোলের মাধ্যমে। পৃথিবী ও চাঁদের মাঝে ৩,৬০,০০০ কিলোমিটারের কম দূরত্ব হলে সুপারমুন দেখা যায়। বেশিরভাগ শীতকালেই এমনটা হয়। মনে করা হয় এই সময় পৃথিবীর ও সূর্যের মাঝের ব্যবধান কমে যায়। যার ফলে চাঁদ-সূর্যের গ্র্যাভিটি চাঁদকেও পৃথিবীর একটু কাছে টেনে আনে। এই জন্যই পৃথিবী থেকে চাঁদকে এতটা বড় দেখায়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ