রাগীব আলীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
আশরাফ চৌধুরী রাজু , সিলেট : সিলেটের আলোচিত ব্যবসায়ী ও পৃথক ৩ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাগীব আলী উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘রাগীব নগর’ ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রতারণা করে রাগীব নগর পোস্ট অফিস স্থাপনেরও অভিযোগ উঠে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও পোস্ট অফিস বন্ধের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। এ ব্যপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এক স্মারকলিপিতে গ্রামের লোকজন এমন অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তারা তালিবপুর নাম ঐহিত্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক কবি লায়েক আহমেদ নোমানসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র ও ক্ষতি সাধনে লিপ্ত রাগীব আলী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান। সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে সিলেটের সহকারী জজ আদালত তালিবপুর গ্রামের নাম পরিবর্তন মামলায় (৭১/১০) ‘রাগীব নগর’ ঘোষণা ও ব্যবহার অবৈধ বলে রায় দেন। বিবাদী তখন জজ আদালতে আপিল করেন। আপিলের রায় বিবাদীর পক্ষে গেলে ওই রায়ের বিরুদ্ধ হাইকোর্টে আপিল করা হয় এবং জজ আদালতের রায় স্থগিত করেন বিচারপতি। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ডিভিশন ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট সিভিল রিভিশন মামলায় (২৭৫১/১৬) বিচারপতি রাগীব নগরের উপর এক বছরের ইনজাংশন (নিষেধাজ্ঞা) জারি করেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ আগস্ট ‘রাগীব নগর’ নাম ব্যবহারে পুনরায় অন্তবর্তিকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট ডিভিশন। কিন্তু রাগীব আলী ও তার লোকজন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কাগজপত্রে ‘রাগীব নগর’ ব্যবহার করছেন।
উল্লেখ্য,স্মারকলিপিতে রাগীব আলীর অতীতের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকা- ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রদানকৃত স্মারকলিপির কথাও উল্লেখ করা হয়। সিলেটের বিশ্বনাথ-দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার এলাকার তালিবপুর গ্রামবাসী ও তালিবপুর মামলার বাদীর পক্ষে প্রদান করা স্মারকলিপিতে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেন। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান