কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না ১০ ব্যাংক
অর্থনৈতিক ডেস্ক : ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংক ধারাবাহিকভাবেই তা মানছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আক্টোবর মাস শেষে ১০টি ব্যাংকের স্প্রেড ৫ শতাংশের বেশি রয়েছে। জাগোনিউজ
প্রতিবেদনে উল্লে করা হয়েছে, এবারের তালিকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত ব্যাংক স্পেড সীমা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী নামিয়ে এনেছে। তবে বিদেশি ৫টি ও বেসরকারি ৫টি ব্যাংকের স্প্রেড এ সীমা অতিক্রম করেছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি স্পেড রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের; যা ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তবে এ মাসে ব্যাংকিং খাতে গড় স্প্রেড দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কমেছে। তবে ঋণের সুদ হারও কমেছে শূন্য ৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আক্টোবর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে গড় আমানতের সুদহার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরের চেয়ে দশমিক শূন্য ১ শতাংশ কম। সেপ্টেম্বরে মাসে আমানতের সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। অন্যদিকে অক্টোবরে ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ঋণের সুদহার কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, আমানতের পাশাপাশি ঋণের সুদ কমায় অক্টোবরে গড় স্প্রেড দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিকে, অক্টোবরে স্প্রেড সীমা বেশি রয়েছে ১০টি ব্যাংকের। এ তালিকায় বিদেশি খাতের ৫টি এবং বেসরকারি খাতের ৫টি ব্যাংকের নাম রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আমানতের অনুপাতে ঋণের সুদ হার আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে, ফলে বেশির ভাগ ব্যাংকের স্প্রেড সীমা নির্দেশিত শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বলেন, সব ব্যাংকের স্প্রেডসীমা ৫ শতাংশের নিচে আনতে বরাবরই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে। যে কয়েকটি ব্যাংকের স্প্রেড বেশি রয়েছে তাদের কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম