কাজের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কোনো পার্থক্য নেই
খুশি কবির
জাতিসংঘ মিশনে আমাদের দেশের অনেক সুনাম আছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গিয়ে আমাদের দেশের স্বশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা নানান সমস্যার সমাধান করছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে জাতিসংঘ মিশনে যাচ্ছে তামান্না -ই-লুৎফী ও নাইমা হক । আমি চাই, এখানে নারী-পুরুষের সফলতার বিচার যেন না হয়। এখানে তারা মিশনে যাওয়ার জন্য দক্ষ, তাই তারা যাচ্ছে। যেহেতু আফ্রিকার পার্বত্য দেশ কঙ্গোতে তাদের মিশন, তাই তাদেরকে আমাদের পার্বত্য অঞ্চল চট্টগ্রামে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যদিও জাতিসংঘ মিশনগুলোতে অনেক প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করতে হয়ে। অন্যদের মতো তাদেরও এই সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতাগুলো সামনে আসতে পারে। তারা সব কিছু মোকাবিলা করতে পারবেন এটা আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি যারা মিশনে যাচ্ছে, তারা মিশন সফল করে দেখাবেন যে, এখানে নারী পুরুষের কোনো পার্থক্য নেই। তবে এটা ঠিক, তাদের দেখাদেখি অন্য নারীরাও উৎসাহিত হবে। একজন ছেলে বা একজন মেয়ে কোনো বড় কাজ করলে তখন অন্য ছেলে মেয়েরা তাদের দেখে ঐ কাজে উৎসাহিত হয়। তেমনি নাইমা হক ও তামান্না নামের যে দু’জন নারী পাইলট মিশনে যাচ্ছে তাদের দেখে অন্যরা উৎসাহিত হবে। তাদের জন্য আমার শুভ কামনা রইল।
পরিচিতি : মানবাধিকার কর্মী
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ