সফটওয়্যার রপ্তানি থেকে পাকিস্তানের আয় ২.৯ বিলিয়ন ডলার
আরটিএনএন : তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) ও তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সেবা (আইটিইএস) খাতে পাকিস্তানের রপ্তানি আয় আনুমানিক ২.৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সরকারের প্রণোদনা ও পাকিস্তানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা শুরু করার কল্যাণে এই খাত থেকে দেশটির ফ্রিল্যান্সাররা বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করছেন। সফটওয়্যার এক্সপোর্ট বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। আইটি ও আইটিইএস শিল্পে সরকারের প্রণোদনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত আইটি রপ্তানির উপর কর ছাড়, টেক স্টার্টআপের জন্য ১০০ শতাংশ বিদেশী মালিকানার অনুমতি, মূলধন, লভ্যাংশ ১০০ শতাংশ ফেরত, ৩ বছরের জন্য কর ছাড়, সকল আইটি প্রতিষ্ঠানের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের উপর ২০২৪ পর্যন্ত কর অবকাশ ইত্যাদি।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সফটওয়্যার এক্সপোর্ট বোর্ড (পিএসইবি)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার শাহ বলেন, আইটি পণ্য ও সেবা প্রদানের জন্য পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বাজার বেশ শক্তিশালী, এই খাত থেকে প্রতিবছর আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আয় হচ্ছে। এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। পাকিস্তানের আইটি শিল্পের বার্ষিক আয় ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তিনি বলেন, গত চার বছরে পাকিস্তানের আইটি শিল্পে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং এই সময়ে রপ্তানি আয় শতকরা ১০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আইটি শিল্পের অগ্রগতির জন্য নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প নিয়মিত নিবিড়ভাবে পরীক্ষা এবং পর্যালোচনা করা হয় যেন স্থানীয় আইসিটি শিল্পের সর্বোচ্চ উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানি আইটি কোম্পানির সাথে পাকিস্তানের অন্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলোর সহযোগিতা জোরদারে পিএসইবি আইটি ও অন্যান্য কোম্পানির বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে সমন্বিত করে, এবং আইটির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নিশ্চিত করে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান (এসবিপি)’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার ও তথ্য সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আইটি শিল্পের রপ্তানি গত বছর রেকর্ড অংক ৯৩৮.৬৪ মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আইটি শিল্পের আয় ১৯ শতাংশ বা ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮৮.৬৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছিল। আইটি বা আইসিটি সেবার বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
পাকিস্তান সফটওয়্যার এক্সপোর্ট বোর্ড (পিএসইবি)’র পরিসংখ্যানে এসবিপি’র তুলনায় ৩ গুণ বেশি রপ্তানি আয় দেখানো হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ