মিজোরামে আশ্রয় নিচ্ছেন রাখাইনের বৌদ্ধরা
মিয়ানমার টাইমস : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় পালানো ১ হাজার ৩০০ বৌদ্ধ শরণার্থী ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যের লংতলাই জেলার চারটি গ্রামে তারা আশ্রয় নেন। মিয়ানমারের বৌদ্ধদের আশ্রয় নেওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা শাসক। প্রথম আলো অনলাইন জানিয়েছে, মাস খানেক আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে এসে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। মিয়ানমারের অশান্তির জেরে উত্তর-পূর্ব ভারত যাতে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় না হয়ে ওঠে, সেটা দেখার নির্দেশ ছিল রাজনাথের ওপর। কিন্তু উপজাতি বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে কার্যত উল্টো নীতি প্রদর্শিত হচ্ছে মিজোরামে।
মিজোরামে সরকারি সূত্রে খবর, লাইতলাং, ডুমজাউতলাং, হামানছৌয়া ও জোয়াছাউয়াÑএই চারটি গ্রামেই থাকছেন শরণার্থীরা। মানবিক কারণেই তাঁদের আশ্রয়ের পাশাপাশি খাদ্য ও চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। লংতলাইয়ের জেলা শাসক টি অরুণ সাংবাদিকদের জানান, ‘মঙ্গলবার ছয় দিন হলো ওরা এসেছে। বৌদ্ধমন্দির ও অন্যান্য স্থানে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, গ্রামবাসীর তুলনায় শরণার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নিরাপত্তাগত ঝুঁকির বিষয়টিকেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
জেলা শাসক বলেন, ‘দুটি বিষয়কে আমরা মাথায় রাখছি। প্রথমত, জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। আর মানবিক দিকটিও আমরা বিচার করছি। আমরা চাই নাÑএ দেশে এসে কেউ অনাহারে বা বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারান। গ্রামগুলোর স্থায়ী বাসিন্দা ২০০ থেকে ৪০০ জন। এখন এই বিপুল পরিমাণ শরণার্থী আশ্রয় নেওয়ায় সমস্যা তো হচ্ছেই!’
মিজোরামের পুলিশ প্রধান টি পাচউয়াউয়ের মতে, এখনই কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। তবে সবদিক বিবেচনা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ