‘বিজেপি বিরোধী চোরা ¯্রােত বয়ে যাচ্ছে গুজরাটে’
আশিস গুপ্ত, জুনাগড় : ভারতের গুজরাটে আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অথচ সাড়ে তিন বছর আগে এই রাজ্য ছেড়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তার পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে প্রথমে প্যাটেল এবং পরে বিজয় রূপানি বসলেও ক্রমশ শিথিল হয়েছে বিজেপির জনভিত্তি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং গুজরাটের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা অশোক গেহলট মনে করেন, বিজেপি বিরোধী চোরা স্রোত বয়ে চলেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, ‘ওই অবস্থা বুঝতে পেরেই আবোল তাবোল কথা বলছেন ওই দলের নেতারা। মিথ্যা কুৎসা ছড়াচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে। রাজ্যে তুলাচাষীরা যখন প্রশ্ন তুলছেন, ২০১২ সালের নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তুলার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কেন বৃদ্ধি করা হলো না, তখন বিজেপি নেতারা সোচ্চার রাহুল গান্ধীর মন্দির যাওয়া নিয়ে।’ একই কথা শুনেছি সুরেন্দ্রনগরের বড়োয়া জনপদের যুবক বিপিনভাই পুরুষোত্তমভাই চাওড়ার কাছে। বলেছেন, ‘আগে যখন সারের দাম ছিল ৫০ কেজির বস্তা ৫০০ টাকা, তখন তুলোর দাম পেয়েছি আমরা ১৪০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তুলোর সহায়ক মূল্য ২০০০ টাকা করা হবে। কিন্তু কিছুই হলো না। এখন সারের দাম ৭০০ টাকা আর আমাদের তুলা বিক্রি করতে হয় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।’ কৃষকদের নানা কঠিন সমস্যা নিরসনে প্যাটেল বা বিজয় রূপানির সরকার কোনো কাজ করেনি। একথা গুজরাটের হাটে, বাজারে, নগর, জনপদে কান পাতলেই শোনা যাবে। অশোক গেহলটের মনে করেন, ‘আমরা কৃষকদের কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিজেপি কংগ্রেসের অন্দরে কি হচ্ছে তাই নিয়ে ভাষণ দিচ্ছে।’
সে কারণে বার বার নরেন্দ্র মোদী ছুটে আসছেন নিজ রাজ্যে। ওই রাজ্যে অবস্থান করছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। প্রাথমিক পর্যায়ে অমিত শাহ ১৫০টি আসনে বিজেপি জিতবে দাবি করলেও, ভোটের দিন যত এগিয়ে এসেছে ততই তিনি ওই সংখ্যা তত্ত্ব থেকে সরে এসেছেন।