এমপি কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলায় ভাইস চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
মাসুদ আলম ও আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের মিরপুরে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় বাহুবল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান শাহেদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশ ও ঢাকার ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, পুলিশের বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে ঢাকার কদমতলী এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী রোববার দিনধার্য করেন।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, গ্রেফতারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বেদে পল্লীতে সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে সরকারি সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে এমপি কেয়া চৌধুরীর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর বাহুবল উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মো. তারা মিয়ার সমর্থকরা এমপি কেয়া চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এমপি কেয়া চৌধুরীর অনুসারীরা ঘটনাস্থলে পৌছলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে মিরপুর বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কেয়া চৌধুরীর সমর্থকরা। তখন বক্তৃতা দিতে মঞ্চে দাঁড়ান কেয়া চৌধুরী। এক পর্যায়ে বক্তৃতারত অবস্থায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রথমে বাহুবল উপজেলা হাসপাতাল ও পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর বাহুবল থানায় মামলা করেন উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন আক্তার। মামলায় ভাইস-চেয়ারম্যান তারা মিয়ার গাড়িচালক মো. জসিম উদ্দিন আদালতে আতœসমপর্ণন করলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী