সামগ্রিক অর্থনীতি চাঙ্গা করতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নেই নজর দিচ্ছে সরকার
সাইদ রিপন : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রামীণ অর্থনীতিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি আরো চাঙ্গা করতে পল্লী অঞ্চলের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার, গ্রামীণ হাট-বাজার উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের তিনটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) থেকে পল্লী অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক এসব প্রকল্পগুলো সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির আগামী মঙ্গলবারের সভায় এসব প্রকল্প উপস্থাপিত হবে। প্রকল্প তিনটি চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৮৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার ৬০ উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৮০ কোটি টাকা। এ বিভাগের পাবনা, রাজশাহী সদর, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলার ৫৮টি উপজেলায় এ অর্থ ব্যয় হবে। একই সঙ্গে রংপুর বিভাগও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এ বিভাগের জন্য ব্যয় ধরা হচ্ছে দুই হাজার ৮৮৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়, ঠাকুগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার ৫৮ উপজেলার অবকাঠামো উন্নয়ন হবে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে পরিবহন ব্যয় কমবে। কৃষি ও অকৃষি উৎপাদন বাড়বে, যা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ বিবেচনায় একনেকে প্রকল্পগুলো উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম