প্রশ্নের জবাব
জীবন সত্য-সুন্দর। জীবনের প্রতিটি পথচলাও সুখ ও সমৃদ্ধির। এর সঙ্গে ইসলামের চর্চা যোগ হলে জীবন হয়ে উঠে আরও শান্তি ও কল্যাণময়। তবে প্রয়োজন ইসলামকে সঠিকভাবে জানা ও মেনে চলা। ইসলাম সম্পর্কে জানা অজানার শেষ নেই। প্রতিনিয়ত ইসলামকে জানতে চোখ রাখুন ‘ইসলামি চিন্তা’র পাতায়। আমাদের ইমেইলে পাঠিয়ে দিন আপনার কৌতুহলী প্রশ্ন। উত্তর দিচ্ছেন দেশের শীর্ষ মুফতিগণ। প্রশ্নমালা সাজিয়েছেন, মাওলানা সাঈদুর রহমান।
প্রশ্ন : ট্রেনে ও বাসে কীভাবে নামায আদায় করতে হবে ?
উত্তর : ট্রেন নির্মাণগতভাবে এ ধরনের যে, তাতে কিবলামুখী হওয়া সম্ভব। যদি নামাযের মধ্যে ট্রেন ঘুরে যায় তাহলে কিবলা ঠিক করে নেওয়াও সম্ভব। এজন্য ট্রেনে ফরজ নামাজ শুরুতে এবং মধ্যবর্তী সময়েও কিবলামুখী হওয়া জরুরী। যদি কিবলামুখী হয়ে নামাজ শুরু করার পর মাঝখানে ট্রেন বা বাস দিক পরিবর্তন তাহলে নামাজীর দিকও পরিবর্তন করতে হবে। আর বাস এভাবে তৈরি করা যে, তা যদি কিবলামুখী হওয় না চলে তাহলে কিবলামুখী হওয়া সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় যদি বাস থেমে থাকে তবে নিচে নামাজ পড়তে হবে। আর যদি চলমান অবস্থায় থাকে, যদি আরোহী ব্যক্তি বাস থামাতে সক্ষম হয় তখন নেমে কিবলামুখী হয়ে আদায় করবে। আর সক্ষম না হলে তবে কিবলামুখী হওয়া ব্যতীতও নামায আদায় করা যেতে পারে।
প্রশ্ন : বিমানে নামায পড়তে হবে কীভাবে ?
উত্তর : জমিনের ন্যায় বিমানে নামাজ আদায় করা যায়। কেননা শরীয়ত শুধুমাত্র কা’বা গৃহকেই নয় বরং তার বিপরীতে পূর্ণ শূণ্যমন্ডলকে কিবলার মর্যাদা প্রদান করেছে। যাতে করে উঁচু স্থানেও নামাজ আদায় সম্ভব হয়।
প্রশ্ন : নামাজের মধ্যে ঘড়ি দেখলে কী নামাজ ভেঙ্গে যায় ?
উত্তর : নামাজে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঘড়ির দিকে দৃষ্টি চলে যায় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি স্বেচ্ছায় দেখে ফেলে এবং তা বুঝে ফেলে কিন্তু মুখে উচ্চারণ না করে তাহলে নামাজ নষ্ট হবে না।
প্রশ্ন : কয়েক স্থান থেকে আযানের শব্দ এলে কোনটির জবাব দিতে হবে ?
উত্তর : সাধারণত লাউড স্পিকারের এ কারণে এক স্থানে থেকে অনেক আজান শুনা যায়। মুখে আজানের জবাব দেয়া মুস্তাহাব। একাধিক আজান শুনা গেলে প্রথম যে আজান শুনা যাবে সেটার জবাব দেয়া উচিত। আর যদি একই সঙ্গে সবগুলো আজানের শব্দ আসতে থাকে তবে আপন মহল্øার মসজিদের আজানের জবাব দিতে হবে।